ব্যুরো: গতরাতে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আপ-এর দুই বিদ্রোহী নেতা প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবকে। তাঁদের সঙ্গেই বহিষ্কৃত হয়েছেন আনন্দ কুমার ও অজিত ঝাও। আজ সকালেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন ভূষণ-যাদব ডুও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদমাধ্যমকে আপ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন ''গত কয়েকদিন ধরেই দলের যা হালচাল ছিল। আমি এই সিদ্ধান্তে অবাক নই। তবে, এই ঘটনাট কষ্ট পেয়েছি। এই সত্যিটাও অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। নিজের বাড়ি থেকেই যখন কেউ তোমাকে তাড়িয়ে দেয় তখন আপনার কেমন লাগতে পারে?'' তিনি জানিয়েছেন বিকল্প রাজনীতির পথে হেঁটে ''স্বরাজ আন্দোলন'' চালিয়ে যাবেন তিনি।


আপ সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রশান্ত ভূষণের বাবা বর্ষীয়ান আইনজীবী শান্তি ভূষণও। কড়া ভাষায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেছেন ''অরবিন্দ কেজরিওয়াল্কে চিনতে গোড়াতেই গলদ করেছিলাম আমরা। বুঝতে পারেনি মানুষ কেজরিওয়াল আসলে কেমন। ও নয়া জমানার হিটলার।''


ঘর ভাঙল আপের। সোমবার রাতে দল থেকে বের করে দেওয়া হল বিদ্রোহী যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণকে। আপের জাতীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কমিটি এই পদক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র দীপক বাজপেয়ী।


আপের ঘরে আগুন লেগেছিল অনেকদিন আগেই। কখনও ধিকিধিকি, কখনও স্ফূলিঙ্গ। বারবার আগুনে ঘি ঢেলে গেছেন যোগেন্দ্র যাদব এবং প্রশান্ত ভূষণ। সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মুখ খুলে শাস্তির খাঁড়াটা নামিয়ে এনেছেন নিজেরাই। তবুও শুধরে নেওয়ার কিছুটা সময় দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সহ্যের সব সীমাই বোধহয় পার করে গিয়েছিলেন আপের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আর তাই যা হওয়ার তাইই হল। দল থেকে বহিষ্কার করা হল যোগেন্দ্র এবং প্রশান্তকে। বের করে দেওয়া হয়েছে এই দুই নৈতার ঘনিষ্ঠ আনন্দ কুমার এবং অজিত ঝা নামে আরও দুই আপ নেতাকে।


কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ এনেছিলেন যোগেন্দ্র। তখন তাঁর ক্ষোভ এতটাই ছিল যে, তিনি দল ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। আর সে প্রসঙ্গে গত দোসরা মার্চ তিনি বলেছিলেন, সবটাই কাল্পনিক। সবটাই রটনা। তবে তাঁকে নিজে থেকে সরতে হল না। দলই তাঁকে বহিষ্কৃত করে দিল।


এই নোটিসের প্রেক্ষিতে যোগেন্দ্র বলেছেন, সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট কমিটিকে এড়িয়ে গিয়ে সমস্ত বড়মাপের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি সরকার থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা এই নোটিসের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যোগেন্দ্র। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রশান্ত ভূষণও। তাঁর অভিযোগ, দলের অনুমোদন ছাড়াই পঙ্কজ গুপ্তা দু কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন। প্রাক্তন সাংবাদিক আশিস খৈতানের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি।