ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিল ইস্যুতে কাজিয়া।  বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, পাচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিলের কথা আগেই জানতেন বিজেপির ঘনিষ্ঠরা। সেই কারণেই আগেই প্রচুর কালো টাকা ব্যাঙ্কে জমা করে দিয়েছেন তাঁরা। গত জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে টাকা জমার পরিমাণ যে হারে বেড়ে গিয়েছিল , তাতেই এটা প্রমাণিত।  অভিযোগ খারিজ করে অরুণ জেটলির দাবি, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ব্যাঙ্কে টাকা জমার পরিমান বেড়েছিল। এবং তা  বেড়েছিল কেন্দ্রীয়  সরকারি কর্মীরা পে কমিশনের টাকা পাওয়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ৩০ ডিসেম্বরের পর আরও কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীর


এদিকে, ৫০০- হাজার টাকার নোট বাতিলে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে টুইটারে ফরে সরব হলেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তাঁর অভিযোগ, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। মানুষের যন্ত্রণা বাড়ছে। কেন্দ্রের কাছে তাঁর ফের অনুরোধ, যুবক থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকেই হয়রান হচ্ছেন। বড় কালো দুর্নীতিতে পরিণত হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত। সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। কালোবাজারিদের সুবিধা বাড়ছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।


অন্যদিকে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা বলছে, পুরনো নোট ভাঙিয়ে একবারে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন গ্রাহকরা। কিন্তু নতুন পাঁচশো টাকার নোট বাজারে আসেনি। দুহাজার আর একশোর নোটের জোগানও কম। চাহিদা মেটাতে বহু ব্যাঙ্কের ভরসা তাই দশ টাকার কয়েন। জোর গুজব, বাজার ছেয়েছে নকল দশ টাকার কয়েনে। আর তাই চকচকে কয়েন দেখলেই মুখ ব্যাজার ব্যবসায়ীদের। খুচরো হাতে থাকলেও, ফের মাথায় হাত আমজনতার। নোট অমিল। রোজকার খরচ চালানোই দায়। এই অবস্থায় প্যাকেট ভর্তি খুচরোও যদি বাজারে অচল হয়, সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?  মনে একটাই প্রশ্ন, এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?