LIFE Mission scam case: কেরালায় বিপাকে সিপিএম, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের দুয়ারেই দুর্নীতি!
আবাস কেলেঙ্কারিকে এটাই প্রথম গ্রেফতার। কেরলে গৃহহীনদের পাকা বাড়ি বানিয়ে দিতে লাইফ মিশন নামে একটি প্রকল্প চালু আছে। রাজ্য সরকারের এই `লাইফ মিশন` প্রকল্পে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটের মাধ্যমে কেরলের রেড ক্রিসেন্টের দেওয়া ১৮.৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১৪.৫০ কোটি টাকা খরচ করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেরালার আবাস কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দুয়ারেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। গত বেশ কয়েকদিন ধরেএনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দফায় দফায় কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিবশঙ্করের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যের আবাস কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই গ্রেফতার বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন, Gorokhpur: টানা ৭ ঘণ্টা ক্লাসেই আটকে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া, গভীর রাতে পুলিস এসে উদ্ধার করল শিশুটিকে
আবাস কেলেঙ্কারিকে এটাই প্রথম গ্রেফতার। কেরলে গৃহহীনদের পাকা বাড়ি বানিয়ে দিতে লাইফ মিশন নামে একটি প্রকল্প চালু আছে। রাজ্য সরকারের এই 'লাইফ মিশন' প্রকল্পে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটের মাধ্যমে কেরলের রেড ক্রিসেন্টের দেওয়া ১৮.৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১৪.৫০ কোটি টাকা খরচ করে। তা দিয়ে ত্রিশূর জেলার ওয়াদাক্কানচেরিতে ১৪০টি পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরি করা হবে।
বাকি টাকা ব্যবহার করে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নির্মাণের কথা চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়। ইউআইটিএসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্তোষ ইপান জানিয়েছেন, স্বপ্না সুরেশ-সহ অভিযুক্তরা এই প্রকল্পের জন্য ৪.৪৮ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। অনিয়মের ওই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের দুই অফিসার স্বপ্না সুরেশ এবং পিএস সারিথকে। তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবশঙ্করকে।
সোনা চোরাচালানের মামলায় তদন্তের সময় লাইফ মিশন প্রকল্পে আর্থিক বেনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। এরপরেই প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে সোনা চোরাচালানের মামলায় ইডি ও কাস্টমসের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পিনারাই বিজয়নের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। সেই সময় ৯০ দিনের বেশি জেল হেফাজত হয়েছিল এই আমলার। এম শিবশঙ্কর জানুয়ারি মাসে কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। অবসর নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর উপর ফের দুর্নীতির অভিযোগ নেমে আসে।