নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলে বিধ্বংসী বন্যায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্যটির জনজীন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে সন্ধ্যায় কেরলের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ইতিমধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাজ্যের সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতির বিষয়ে কথা হয়েছে দু'জনের। মোদী নিজে এ দিন উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখতে কেরল যাচ্ছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিগত শতাব্দীতে কখনও এমন বন্যা দেখেনি কেরল। ১১৪টি প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি এই বন্যায় সম্পদ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাসারাগোদ ছাড়া রাজ্যের ১৩টি জেলাতেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এরনাকুলাম এবং ইদুক্কি জেলায় শনিবারের জন্যও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যে।


শুক্রবার সকালে তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছেছে ন্যাশানাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৫টি ইউনিট। রাজ্য জুড়ে উদ্ধআর কাজে লেগে পড়েছে বাহিনীর সদস্যরা। আজই কেরলে পৌঁছনোর কথা এনডিআরএফ-এর আরও ৩০টি দলের। বন্দিপেরিয়ার থেকে বন্যা কবলিত মঞ্জুমালা গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে উপকূল রক্ষীবাহিনীর উদ্ধারকারী দলকে। ইতিমধ্যে ওই গ্রাম থেকে ১৬ জনকে উদ্ধার করেছে বাহিনী। উদ্ধার কার্যের পাশাপাশি ত্রাণ হিসাবে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হচ্ছে। আরও পড়ুন- বন্যায় বিধ্বস্ত কেরল, বন্ধ রেল-বিমান পরিষেবা


জলস্তর ক্রমশ বাড়তে থআকায় কোচিন বন্দর এই মুহূর্তে বন্ধ। ফলে, যাবতীয় কাজের জন্য ব্যবহার হচ্ছে কেবল তিরুঅনন্তপুরম এবং কালিকুট বন্দর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রের তরফে সব কেরল গামী আন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে ভাড়ায় রাশ টানার অনুরোধ করা হয়েছে। কেরল থেকে যেসব উড়ান দেএশর অন্যত্র যাবে, সেখানেও ভাড়ার বিষয়টি কম রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে।