নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার বিকেল ৫টায় খুলছে সবরীমালা মন্দির। টানা ৪১ দিন আয়াপ্পার দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। আঁটসাঁট নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে সবরীমালা মন্দির চত্বর। প্রশাসনের দাবি, ১০ হাজার পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু ‘সমাজকর্মী’ মহিলাদের আয়াপ্পা দর্শনে কোনও নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে কেরল সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে কেরল দেবস্বম মন্ত্রী কাদাকমপল্লী সুরেন্দ্রন বলেন, যে সব মহিলারা নিরাপত্তা চেয়ে মন্দির দর্শন করতে চাইছেন, তাঁরা আগে ‘কোর্ট অর্ডার’ নিয়ে আসুন। সবরীমালা প্রাঙ্গন প্রতিবাদ করার জায়গা নয়। নাম উল্লেখ করে পিনারাই বিজয়ন সরকার মন্ত্রী বলেন, ত্রুপ্তি দেশাইয়ের মতো সমাজকর্মীদের এটা ক্ষমতা প্রদর্শন করার জায়গা নয়। এই সরকারই গত বছর ত্রুপ্তি দেশাইদের নিরাপত্তা দিয়েছিল। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েও মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে কার্পণ্য করেনি বিজয়নের পুলিস।



আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসাবে পঞ্চম স্থানে কলকাতা, প্রথম দিল্লি, বলছে সমীক্ষা


সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই জানান, ২০ নভেম্বরের পর আয়াপ্পা দর্শনের তিনি যাচ্ছেন। সরকারকে নিরাপত্তা দিতে অনুরোধও করবেন। যদি তাঁকে নিরাপত্তা না দেওয়া হয়, তা-ও আয়াপ্পা দর্শনে যাবেন বলে জানান দেশাই। সম্প্রতি সবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় আরও জটিলতা বাড়িয়েছে। এখন সরকারের কী ভূমিকা হওয়া উচিত, এ নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। তবে, গতবার যে বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে সরকারকে বিক্ষোভ প্রতিরোধ করতে দেখা গিয়েছিল, এবারে তাতে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, সবরীমালা রায়ের পুনর্বিবেচনার বিষয়টি বৃহত্তর ৭ বিচারপতির বেঞ্চ  পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। এবার শুধু সবরীমালা নয়, অন্যান্য ধর্মে মহিলাদের স্বাধীনতা এবং অধিকার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।