নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের 'লভ জিহাদ'কাণ্ডে নির্যাতিতা হাদিয়ার সঙ্গে সাফিন জাহানের বিয়ে খারিজ করেছিল কেরল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কেরল হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করল দেশের শীর্ষ আদালত। হাদিয়া ও সাফিন জাহানের নিকাহকে বৈধতা দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানাল, স্বামীর সঙ্গে থাকতে পারবেন হাদিয়া। পাশাপাশি বিচাপতিদের মতে, বিয়ে বাতিল করা উচিত হয়নি কেরল হাইকোর্টের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাদিয়ার বিয়ে বৈধতা পেলেও 'লভ জিহাদ' নিয়ে এনআইএ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সাফিন ও হাদিয়ার দাম্পত্য জীবনে হস্তক্ষেপ না করে এই তদন্ত চালাতে হবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এনআইএ-র আইনজীহী মনিন্দর সিং জানিয়েছেন, তদন্ত প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ফজল মুস্তাফা ও শিরিন শাহন্দের সাক্ষ্য খতিয়ে দেখা হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টে এনআইএ জানিয়েছিল, ইসলামে ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে কেরলে।        


সাফিন জাহানের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য ধর্মপরিবর্তন করেছিলেন কেরলের বাসিন্দা হাদিয়া, এমনই অভিযোগ হাদিয়ার বাবার। তাঁর মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য সাফিন ফাঁসিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁরা এমনও দাবি করেন, সাফিনের সঙ্গে যোগ রয়েছে আইএসের। এরপর সাফিন-হাদিয়ার বিবাহ রদ করে কেরল হাইকোর্ট। 
তারপর সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন হাদিয়ার স্বামী সাফিন জাহান। সুপ্রিম কোর্টের হলফনামা পেশ করেন হাদিয়াও। তিনি জানান, স্বেচ্ছায় ধর্মপরিবর্তন করে বিয়ে করেছেন তিনি। এনআইএ অফিসার ও নিজের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগও করেছেন হাদিয়া। 


আরও পড়ুন- এবার ভাঙা হল গান্ধী মূর্তি, আম্বেদকরের আবক্ষ মূর্তিতে কালি


হাদিয়ার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে এনআইএ। তারা জানিয়েছে, স্বচ্ছ, বিষয়ভিত্তিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালানো হয়েছে। কোনওরকম ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়নি। 'প্রভাবিত' হয়েও তদন্ত করেননি বলে দাবি তদন্তকারীদের। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরও লড়াই ছাড়ছেন না হাদিয়ার বাবা কেএম অশোকন।  


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী কথা বলেননি, এনডিএ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পর দাবি চন্দ্রবাবুর