নিজস্ব প্রতিবেদন- ২০০৯-১০ বাজেটে প্রথম এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সময় রেল মন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথমবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যে সব সবজি ও ফল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় সেগুলি বিক্রির জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে রেল। তার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচসমেত ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। সেই ট্রেন চলবে শুধুমাত্র দেশের কৃষকদের স্বার্থে। তত্কালীন রেল মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাব আর বাস্তবের মুখ দেখেনি। তবে প্রায় ১১ বছর পর সেই একই রাস্তায় হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে কাল! এমনটা তো এবার বলা যেতেই পারে, তাই না!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ কৃষকদের জন্য দেশের প্রথম কিষান ট্রেন চলবে। মহারাষ্ট্রের দেবলালি থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশের সময় কিষান ট্রেন চালানোর কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। রেল মন্ত্রক এর পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় যে সব সবজি ও ফল, সেগুলিকে দ্রুত অন্য জায়গায় পৌঁছে দিতে কৃষকদের সাহায্য করা হবে। ৭ অগাস্ট প্রথম কিষান ট্রেন চালানো হবে। তার পর প্রতি সপ্তাহে চলবে একটি করে কিষান ট্রেন। আজ ১৫১৯ কিমি রাস্তা পাড়ি দেবে এই কিষান ট্রেন। সকাল ১১টায় ছাড়বে এই ট্রেন। তার পর ৩২ ঘণ্টার সফর শেষ করে কাল সন্ধ্যে পৌনে সাতটায় দানাপুর পৌঁছবে। 


আরও পড়ুন-  ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে এবার হবে হনুমানের মূর্তি, উচ্চতা ২১৫ মিটার


নাসিক ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে ফল, তাজা সবজি, পেয়াঁজ, ফুল ও অন্য ফসলের উত্পাদন হয়। সঠিক সময় সেই ফল, সবজি, ফুল বিক্রির জন্য জায়গা মতো পৌঁছে দিতে না পারলে সেগুলি নষ্ট হয়ে যায়। কিষান ট্রেন সেইসব সবজি, ফুল, ফল বিক্রির জন্য অন্য জাগায় পৌঁছে দেবে। তাও কম সময়ের মধ্যে। ট্রেনে শীতাতপ কোচ থাকবে। ফলে ফল, সবজি নষ্ট হবে না। নাসিক রোড, মনমাড়, জলগাও, ভুসাবল, বুরহানপুর, খন্ডবা, ইটারসি, জবলপুর, সতনা, কটনি, মণিকপুর, প্রয়াগরাজ, ছৌকি, দীনদয়াল উপাধ্যায় নগরসহ অনেক জায়গায় এইসব কাঁচা সবজি ও ফল পৌঁছে দেবে কিষান ট্রেন।