নিজস্ব প্রতিনিধি - কিসিং বাবা। নাম শুনলেই বোঝা যায়, বাবা ঠিক কীভাবে সমস্যার সমাধান করে দিতেন। হ্যাঁ, আপনাদের আন্দাজ একেবারেই ঠিক। এই বাবাই চুমু খেয়ে ভক্তদের করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করবেন বলেছিলেন। রক্ষা করতে পারলেন না নিজেকেই। কিসিং বাবার মৃত্যু হল করোনায়। মধ্যপ্রদেশের রতলাম জেলা নয়াপুরা এলাকায় ডেরা ছিল বাবার। ভক্তদের ঢল নেমেছিল সেখানে গত কয়েকদিন ধরে। বাবা নাকি চুমু খেয়ে ভক্তদের করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন! বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এদিকে, বাবার ১৯ জন ভক্তের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাবা বলেছিলেন, তিনি যাঁকে চুমু খাবেন তাঁর থেকে করোনা একশো হাত দূরে থাকবে। আর তাই গত কয়েকদিনে ভক্তদের দেদার চুমু খেয়েছেন তিনি। বাবার চুমু খাওয়ার ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু বাবারই শেষ রক্ষা হল না। কিসিং বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর ভক্তদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এতদিনে ভক্তরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁর বুজরুকির শিকার হয়েছেন। কিসিং বাবা কয়েকশো ভক্তের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে গেলেন। রতলামের নোডাল অফিসার চিকিৎসক প্রমোদ প্রজাপতি জানিয়েছেন, ৪ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছিল। এর পরই তাঁর সংস্পর্শে আসা অনেকের করোনা টেস্ট হয়। ১৯ জনের শরীরে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি রয়েছে।


আরও পড়ুন- 'মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক', নোটিস শীর্ষ আদালতের


কিসিং বাবা নিজেকে কবিরাজ বলেও দাবি করতেন। তাঁর চুম্বনে নাকি অনেক রোগ এমনিই সেরে যায়! ভক্তরাও সেসবে বিশ্বাস করে তাঁর কাছে ভিড় জমাতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর সংস্পর্শে আসা মোচ ৪০ জনকে খুঁজে বের করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। তার মধ্যে ১৯ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে সাতজন আবার বাবার পরিবারের সদস্য। বাবার সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।