ওয়েব ডেস্ক: একদিকে মূল্যবৃদ্ধির বাজার। অন্যদিকে আয়কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন নেই। এই অবস্থায় কর বাঁচাবেন কীভাবে? রাস্তা আছে। আজ আলোচনা করা যাক হাউজ রেন্ট অ্যালাউন্স নিয়ে। কোম্পানির ফ্ল্যাট, নাকি নিজের ভাড়া করা বাড়ি? ট্যাক্স বাঁচাতে কোনটা বেটার? আসুন দেখে নেওয়া যাক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাঁরা ভাড়া বাড়িতে থাকেন, তাঁরা হাউজ রেন্ট অ্যালাউন্সের বদলে ভাড়া বাবদ কর ছাড় দাবি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যে কোনও একটি শর্তের ওপর কর ছাড় মিলতে পারে।


অথবা, মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা বা চেন্নাইয়ে ভাড়া নিয়ে থাকলে, তা যদি মূল বেতনের ৫০% হয়। অন্যান্য শহরে ক্ষেত্রে এই সীমা মূল বেতনের ৪০%। যখন বাড়ি ভাড়া মূল বেতন বা বেসিক স্যালারির ১০% কম হয়, কিংবা, আসল হাউজ রেন্ট অ্যালাউন্স যা দেওয়া হয়। (এ ক্ষেত্রে যেটি কম হবে, তার ওপর মিলবে কর ছাড়)


এবার আসা যাক কোম্পানির দেওয়া ফ্ল্যাটের বিষয়ে। কোম্পানি হোটেলে রাখলে মূল বেতনের ২৪% পর্যন্ত হোটেল ভাড়ায় কর ছাড়। হোটেল ছাড়া অন্যত্র রাখলে মূল বেতনের ১৫% পর্যন্ত ঘর ভাড়ায় কর ছাড়। কোম্পানির মালিকানাধীন ফার্নিশড ফ্ল্যাট হলে ফার্নিশিং বাবদ খরচের ১০% কর ছাড়। কোম্পানির ভাড়া করা ফার্নিশড ফ্ল্যাট হলে আসবাবপত্র ভাড়ার পুরোটাই কর ছাড়।


এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোনটাতে বেশি ছাড় মেলে।


আপনার বেতন যদি ১.৫ লক্ষ টাকা হয় এবং আপনি যদি মেট্রো শহরে কোম্পানির কোনও ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকেন, তাহলে ছাড়ের পর ভাড়া বাবদ আপনার জন্য কোম্পানির খরচ হবে ২২, ৫০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনও HRA পাচ্ছেন না এবং করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা।


আপনি যদি ভাড়া বাড়িতে থেকে ৫০ হাজার HRA পান তাহলে কর ছাড়ের পর আপনার কর যোগ্য আয় হবে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। তাহলে কর বাঁচল ১০ শতাংশ। তবে ২.৫ লক্ষ টাকা বেতন হলে কোম্পানির ফ্ল্যাট নেওয়া বেশি সুবিধার। কারণ এই বেতনে প্রাপ্য HRA-র অনেক বেশি অংশ কর যোগ্য। এ ক্ষেত্রে কোম্পানির ফ্ল্যাট নিলে আপনার কর যোগ্য আয় হবে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ HRA নিলে আপনার কর যোগ্য আয় দাঁড়াবে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তাহলে ১৩ শতাংশ বেশি কর আপনাকে দিতে হচ্ছে।