ওয়েব ডেস্ক : গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন? কোথাও যাবেন ভাবছেন? এমন সময় ট্রাফিক মোড়ে দাড়গাবাবু এসে হাজির। বললেন, "দেখি লাইসেন্সটা বের করুন তো? গাড়ির কাগজ কোথায়?'' তারপর এই সমস্যা, ওই সমস্যা দেখিয়ে দিলেন একটি ৫০০ বা হাজার টাকার চালান কেটে। ব্যাস! তারপরই হল। বেরনোর আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। সকাল সকাল একটা ভালো রকমের কেস খেয়ে রীতিমতোই মুডটা বিগড়ে গেল। কিন্তু, জানেন কী রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা ট্র্যাফিস কনস্টেবলদের এক্তিয়ার কতটুকু?


অনেকেই হয়তো তা জানেন না। আর জানেন না বলেই হয়তো বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়েন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে। সঠিক কাংগজ থাকা সত্বেও ভয়ের থেকেই দিতে হয় একগুচ্ছ ফাইন। বেশিরভাগ সময় ট্রাফিক কনস্টেবল বা অন্য কোনও পুলিশকর্মী চালকের কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু আইন বলছে, তাঁরা সেই কাজ করতে পারেন না। সাব ইন্সপেক্টর বা তার থেকে উর্ধ্বতন কোনও কোনও পুলিস অফিসারই একমাত্র গাড়ির কাগজ দেখতে চাইতে পারেন। পদাধীকার বলে একজন ট্রাফিক কনস্টেবল কোনও গাড়ি আটক করতে পারেন না। চালককে গ্রেফতার করার অধিকারও নেই তাঁর। তবে, মদ খেয়ে গাড়ি চালালে বা গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করলে এমনকী বাধাধরা গতির বাইরে শহরে গাড়ি চালালে কিছুকিছু ক্ষেত্রে একজন ট্রাফিক কনস্টেবল চালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করতে পারেন। আর সেখানে হেড কনস্টেবল শুধু ১০০ টাকা জরিমানা নিয়ে চালান দিতে পারেন। আর ১০০ টাকার বেশি জরিমানা করা হলে সেই চালানে পদস্থ পুলিস কর্তাকেই সই করতে হবে।