ওয়েব ডেস্ক: এপ্রিল থেকে কমছে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার। অবসরের পর জমানো অঙ্কের ভরসাটা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেল? ভাববেন না। বাজারে এসে গিয়েছে একসে বরকর এক রিটায়ারমেন্ট ফান্ড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এক দিকে মূল্যবৃদ্ধির বাজার। অন্যদিকে আর্থিক সংস্কার। তার ওপর স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমছে এপ্রিল থেকে। এবার থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর ওঠা নামা করবে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার। এবার তাহলে কী করণীয়? ফান্ড ম্যানেজাররা বলছেন, ঝুঁকি নিন। মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করুন।


মিউচুয়াল ফান্ডের দুনিয়ায় নতুন নাম রিটায়ারমেন্ট ফান্ড। অবসর জীবনের কথা মাথায় রেখে এই ফান্ডে বিনিয়োগ করা যেতেই পারে। কিন্তু কী এই রিটায়ারমেন্ট ফান্ড? রিটায়ারমেন্ট ফান্ডের মূল লক্ষ্য তহবিল যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো এবং অবসর জীবনে স্থায়ী আয়ের পথ খুলে রাখা।


এই দুই উদ্দেশ্য পূরণে কী করা হবে? বিভিন্ন অনুপাতে আপনার জমানো অর্থ শেয়ার ও ঋণপত্রে ছড়িয়ে দেওয়া। কতটা শেয়ার ও কতটা ঋণপত্রে, তা নির্ভর করে লগ্নিকারীর বয়স, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির ওপর। কোন ধরনের শেয়ার বা কোন ধরনের ঋণপত্রে খাটানো হবে ঝুঁকির মাত্রা বিচার করে সেটাও নির্ধারণ করা হয়।


কষ্টার্জিত অর্থ জমানোর ক্ষেত্রে কতটাই বা ঝুঁকি এ ধরনের ফান্ডে? তাও আবার যখন অবসর জীবনের কথা ভাবা হচ্ছে। বাজার ওঠানামার ওপর নির্ভর করে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লগ্নির ভবিষ্যত্‍। তাই সব সময় এ ধরনের ফান্ডে ঝুঁকি থেকে যায়। যাঁদের বয়স কম, তাঁরা বেছে নিতে পারেন সম্পূর্ণ শেয়ার ভিত্তিক ফান্ড, অর্থাত্‍ যেখানে ঝুঁকি নিয়েই শেয়ারে সম্পূর্ণ টাকাটা বিনিয়োগ করা হয়। যাঁরা রিটায়ারমেন্টের দরজায় দাঁড়িয়ে, তাঁরা বেছে নিতে পারেন ঋণপত্র নির্ভর ফান্ড। সামান্য কিছু অংশ শেয়ারে ঢালার ঝুঁকিও নেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের রিটায়ারমেন্ট ফান্ডে তহবিলের কোনও একটি অংশ বা পুরোটা খাটে মূলত উঁচু মানের ঋণপত্রে, যেখানে নিয়মিত আয়ের বন্দোবস্ত থাকে।


ঝুঁকি যেমন আছে,  তেমনই আছে অবসরের দিনগুলিকে আর্থিকভাবে সুনিশ্চিত করার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু কীভাবে ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ার বাজার ও ঋণপত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ ঠিক করবেন? এর একটা সহজ সমাধান দিচ্ছেন ফান্ড ম্যানেজাররা।


যদি আপনার বয়স হয় ২৫, তাহলে ১০০ থেকে ২৫ বিয়োগ করতে হবে। উত্তর হবে ৭৫। নিজের বয়সের সঙ্গে তাল রেখে ৭৫% টাকা বিনিয়োগ করা উচিত শেয়ার বাজারে। বাকিটা ঋণপত্রে।


যাঁদের বয়স অবশ্য ৬০ পেরিয়েছে, তাঁদের এই হিসেবে রিটায়ারমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। তাঁরা স্থায়ী আয়ের লক্ষ্যে ঋণপত্রের ওপর ভরসা রাখতেই পারেন। যদি অবসরের পরের সঞ্চয়ের জন্য প্ল্যান করেন, তাহলে রিটায়ারমেন্ট ফান্ড নিয়ে ভাবতেই পারেন। মনে রাখা উচিত, এ ধরনের ফান্ডে বিনিয়োগে কিন্তু আয়করে ছাড় পাওয়া যায়।