জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর জি কর মামলায় পুলিসি ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ সুপ্রিমকোর্টের। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর কেন এফআইআর, প্রশ্ন আদালতের। যেভাবে গোটা মামলায় পুলিস এগিয়েছে, তিরিশ বছরের কর্মজীবনে তা দেখেননি। মন্তব্য বিচারপতি পার্দিওয়ালার। এএসপির ভূমিকা সন্দেহজনক। পর্যবেক্ষণ সুপ্রিমকোর্টের। ক্রাইম সিন নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি সলিসিটার জেনারেলের। সূত্রের খবর, একই দাবি সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টেও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, R G Kar Incident: হাসপাতালের বেডে বেঁধে পায়ু সঙ্গম, আরজি কর শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে উঠল অরুণার নামও


এদিন সুপ্রিমকোর্টে বৃহস্পতিবার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। হাসপাতাল ভাঙচুর নিয়ে রিপোর্ট রাজ্যেরও। আর এদিনই, ফের আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলল বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মিশ্রার ডিভিশন বেঞ্চে। বিশেষ করে অভিযোগ দায়ের ও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। আদালতের শুনানিতে উঠে আসে, ক্রাইম সিন নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে। শুনানিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সলিসিটর জেনারেলের। একই বিষয়ের উল্লেখ সিবিআই রিপোর্টেও। তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা। 


অস্বাভাবিক মৃত্যুও নয়। প্রথমে বলা হয় সংজ্ঞাহীন। একজন ডাক্তার জানবে না কোনটা মৃতদেহ? প্রশ্ন সলিসিটর জেনারেলের। বিস্ময় প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের। ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর এফআইআর হল কেন ? প্রধান বিচারপতি। অধ্যক্ষ পদত্যাগের পরই অন্য হাসপাতালে নিয়োগ কেন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। আমরা মানছি, এ বিষয়ে আলাদা জবাব দেবে রাজ্য, বললেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল।  


ময়নাতদন্তের পর কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। সকাল ১০টা ১০-এ জিডি করা হয়। সন্ধে ৭টা ১০-এ ময়নাতদন্ত শেষ হয়। রাত সাড়ে ১১টায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের। রাত ১১টা ৪৫-এ  এফআইআর করা হয় বললেন সলিসেটর জেনারেল। থানায় ফেরার পর এফআইআর করেন পুলিস আধিকারিক। আদালতে পাল্টা জানায় রাজ্য।


মেহতা আরও দাবি করেন, সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধারের কথা শুরুর রিপোর্টে। তার প্রশ্ন দেহ মৃত না সংজ্ঞাহীন, চিকিত্‍সক বুঝবেন না? দেহ সত্‍কারের পর এফআইআর কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সলিসিটার জেনারেল। জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে তোপ রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিবালের। পাল্টা তুষার মেহতার দাবি, তারা জল থেকে কাদা সরানোর চেষ্টা করছেন মাত্র। যদিও গোটা বিষয়ে পুলিসের ভূমিকায় মোটেই সন্তুষ্ট নন বিচারপতিরা। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য শিয়ালদা কোর্টে আবেদন করেছিল সিবিআই। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই নিয়ে নির্দেশ দিতে হবে। খুনের তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। হাসপাতাল ভাঙচুরের তদন্ত চালিয়ে যাবে কলকাতা পুলিস। 


ক্রাইম সিন নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। অভিযোগ তুললেন সলিসিটর জেনারেল। একই তথ্যের উল্লেখ সিবিআই রিপোর্টে। খবর সূত্রের। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সিলবন্ধ খামে জমা দিল  সিবিআই। মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। স্বাধীনতার মধ্যরাতে আরজি করে যে হামলা হয়েছিল, তার তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট দিল রাজ্যও। পরিবারকে বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ডাক্তারদের সন্দেহ কিছু আড়াল করা হচ্ছে। মন্তব্য সলিসেটর জেনারেলের। চিকিত্‍সকরা কাজে যোগ দিন। রোগীদের স্বার্থে কাজে যোগ দেওয়া জরুরি। বললেন প্রধান বিচারপতি।নিরাপত্তার জন্য টাক্স ফোর্সে রেসিডেন্ট ডাক্তাররাও। রাখার আর্জি মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। 


 



আরও পড়ুন, Kolkata Doctor Rape And Death Case: মহিলারা যদি কর্মস্থলেই সুরক্ষিত না হন, তাহলে কীসের সমানাধিকার! সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে রাজ্য...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)