নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ বিমানের দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে একাধিক তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্ঘটনায় সময় কোঝিকোড়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল, বাতাসের গতিও তীব্র ছিল প্রবল। এরকম এক পরিস্থিতিতে বিমানটি রানওয়ে ছোঁয়ার পর তা পিছলে গিয়ে একটি গর্তে পড়ে যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার পেছনে অন্য একটা কারণও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি হল, রানওয়ে শুরু হওয়ার ১ কিলোমিটার পরে বিমানটি ল্যান্ড করে। সঙ্গে ছিল টেল উই্ড। সবেমিলিয়ে রানওয়ে ছোঁয়ার পর পর প্রবল গতিতে সেটি পিছলে যায়।


আরও পড়ুন-'অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন ক্য়াপ্টেন সাঠে, কোঝিকোড়ে আগেও অবতরণ করেছেন অন্তত ২৭ বার'


ডিজিসিএ সূত্রে সংবাদমাধ্যমের খবর, রানওয়ের দৈর্ঘ ছিল ২.৮ কিলোমিটার। এখন এক কিলোমিটার পেরিয়ে এসে ল্যান্ড করলেও বাকী দৈর্ঘের মধ্যে বিমানটিকে থামানো যেতে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে একটি বিষয় ঠিক বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি হল রানওয়ে ভিজে থাকার কারণ ব্রেকিং সিস্টেম কাজ নাও করতে পারে। শেষপর্যন্ত বিমানটি একটি ৩৫ ফুট গর্ত পার করে বিমানবন্দরের সীমানা পাঁচিলে ধাক্কা মারে। 


বিমান চলাচলের ওপরে নজরদারি ওয়েবসাইট Flightradar24 এর মতে বিমানটি দুবার ল্যান্ড করার চেষ্টা করে। তৃতীয়বাররের চেষ্টায় সেটি রানওয়ে ছোঁয়। ল্যান্ড করার সময় বিমানটি ছিল রানওয়ের ৪৫০ ফিট ওপরে। গতি ছিল ৩২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। এই গতি ও উচ্চতা ল্যান্ডিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মনে করছেন বিমান বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন-দলে শাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন! বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হয়েই বিতর্কে অগ্নিমিত্রা পাল


এদিকে, সূত্রের খবর, প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় রানওয়ের দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। টেল উইন্ডেও সমস্যা ছিল। পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জিজ্ঞাসা করেন রানওয়ের উল্টো দিক থেকে অবতরণ করা যাবে কিনা।  বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, টেল উইন্ড থাকলে বিমানটি ল্যান্ড করার পর তাকে অনেকটাই ঠেলে নিয়ে যেতে পারে বাতাস। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছিল কিন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।