নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ৬ জুন চিন ও ভারতের লেফটেন্যান পর্যায়ে বৈঠকের পর ঠিক হয় পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে সরে যাবে দুপক্ষই। চিনা সেনা তাদের তাঁবু সরিয়ে নেবে। সেইমতো ওই জায়গা থেকে সরে আসে ভারতীয় জওয়ানরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লাদাখের সংঘর্ষের উত্তাপ আছড়ে পড়ল চন্দননগরেও! আরও অন্ধকার ১২ হাজার কর্মীর ভবিষ্যত্


দুপক্ষের কথা হয়ে যাওয়ার কী থেকে এতবড় ঘটনা


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সোমবার সন্ধেয় ভারতীয় জওয়ানদের একটি ছোট দল গালওয়ান উপত্যকায় দেখতে যায় চিনা সেনা তাদের তাঁবু সরিয়েছে কিনা।  দেখা যায় একটি তাঁবু তখনও সেখানে রয়েছে। একটি সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, তাঁবুর কাছাকাছি যেতেই চিনা সেনা কর্ণেল বি এ সন্তোষবাবুও ওপরে হামলা চালায়। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের হাতাহাতি লড়াই। চিনা সেনাদের সঙ্গে ছিল রড ও অন্যান্য অস্ত্র। সংঘর্ষের খবর পেয়েই দুপক্ষের সেনারা ঘটনাস্থলে চলে আসে।


এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সেনা মঙ্গলবার প্রাথমিভাবে জানিয়েছিল, এক কর্ণেল-সহ মোট ৩ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। পরে জানানো হয়, আরও ১৭ জন মারাত্মক জখম। অনেকেরই মৃত্য়ু হয়েছে গালওয়ানের হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রায়। ৪৩ জন চিনা  সেনা নিহত কিংবা আহত হয়েছেন বলে খবর। সংঘর্যের সময়ে অনেকেই নদীতে পড়ে  যান। ওই সংঘর্ষের পরই এলাকা থেকে সরে যায় চিনা সেনা।


আরও পড়ুন-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ির সামনে যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য


এদিকে, এই ঘটনার পরই চিফ অব আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কথা হয় বিদেশ সচিব জয়শঙ্করের সঙ্গেও। এক বিবৃতিতে রাজনাথ বলেছেন, গালওয়ান উপত্যকায় এতজন সেনার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের সেনারা অত্যন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছে। এদের বলিদানের কথা  দেশে ভুললবে না। এই সংকটের সময়ে দেশের মানুষ সেনার সঙ্গে রয়েছে।