নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখে চিনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন মোদী। রাহুল গান্ধীর এহেন অভিযোগের মধ্যে লাদাখ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করছে গোটা কংগ্রেস ব্রিগেড।  এরকম এক অবস্থায় কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-একদিনে ১৮ হাজার আক্রান্ত, দেশে কোভিডের কবলে মোট ৫ লাখ


শনিবার পাওয়ার বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। গোটি বিষয়টিতে কেন্দ্রের ব্যর্থতা বলা যায় না। মনে রাখতে হবে ১৯৬২ সালে চিন-ভারত লড়াইয়ে  আমাদের দেশের ৪৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন।


গত ১৫ জুন গালওয়ানের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, গালওয়ানের ঘটনাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যর্থতা বলা যাবে না। কারণ আমাদের সেনা সতর্ক ছিল। গোটা বিষয়টাই ভীষণ সংবেদনশীল। গালওয়ান উপত্যকার ঘটনায় চিনই প্ররোচনা দিয়েছিল।


প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গালওয়ানে নিজেদের এলাকার মধ্যেই একটি রাস্তা তৈরি করছিল ভারতীয় সেনা। চিনা সেনা তা দখল করার চেষ্টা করছিল। তাদের ভাগিয়ে দিয়েছে আমাদের সেনা। এখানে ব্যক্তিগতভাবে কারও ব্যর্থতা হতে পারে না। আপনি যখন প্রট্রোলিং করছেন তখন যে কেউ  চলে আসতে পারে। চিনও সেভাবেই এসেছিল। এটাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পরাজয় বলা যেতে পারে না।  দেশের এই সংকটের সময়ে কোনও ওইরকম কোনও অভিযোগ করা উচিত নয়।


কংগ্রেসকে নিশানা করে পাওয়ার বলেন, ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিন ভারতের ৪৫০০ বর্গ কিলোমিটর জমি দখল করেছিল। সেই জমি এখনও তাদের দখলেই রয়েছে। জানি না ভারতের আরও জমি চিন কব্জা করেছে কিনা। কিন্তু যখন কোনও অভিযোগ করব তখন দেখতে হবে আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন কী হয়েছিল। এটা জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। এনিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।


আরও পড়ুন-বহু কোটি টাকার দুর্নীতি, সোনিয়া ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলকে টানা জেরা ইডির



এদিকে, রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি কেন্দ্রকে নিশান করেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলও।  শনিবার তিনি বলেন, প্রধনমন্ত্রী খোলসা করে বলুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কী হয়েছে। চিন যেভাবে ভারতের সীমানায় ঢুকেছে তার প্রতিবাদ প্রকাশ্যে করুন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে বলতে হবে কেউ যদি ভারতের সীমানা দকল করে তাহলে সেখান থেকে তাকে তাড়াব।  এরকম যদি উনি বলতে পারেন তাহলে গোটা দেশ-সহ বিরোধীরা ওঁর পাশে দাঁড়াবে।