নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ ৯৬ বছর অক্লান্ত পরিষেবা দেওয়ার পর চিরতরে বিশ্রামে গেল হৃষীকেশের সুবিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু লক্ষ্মণঝোলা। বৃদ্ধ এই সেতু পর্যটকের ভার বহনে অক্ষম, জানিয়ে দিল বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার থেকে সেতুর ওপর দিয়ে সমস্তরকম যান চলাচলের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের যাতায়াতও। সেতুটি আর সারানো সম্ভব নয় বলেও  জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের বন্যা পরিস্থিতি, মৃত ১০


উত্তরাখণ্ডের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ওম প্রকাশ এ বিষয়ে জানিয়েছেন, সেতুটির অধিকাংশ স্থানেই বয়সের ছাপ স্পষ্ট। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বিপদ। আশঙ্কাজনক অবস্থা খতিয়ে দেখেই বিশেষজ্ঞদের একটি দলের পরামর্শেই বন্ধ করে দেওয়া হল লক্ষ্মণঝোলার পরিষেবা। সেতু খোলা রাখা বিপজ্জনক বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "এই মুহূর্তে সেতু বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন, তা না হলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।"



হৃষীকেশ বললেই পর্যটকদের মনে যে নামটি সবার প্রথমে আসবে সেটি অতি পরিচিত গঙ্গাবক্ষের এই লক্ষ্মণঝোলা। ১৯২৩ সালে নির্মিত এই লক্ষ্মণঝোলা উত্তরাখণ্ডের হৃষীকেশ শহরের অন্যতম দর্শনীয়। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে তেহরি জেলার তপোবন গ্রামের সঙ্গে উরি জেলার জঙ্ক-র সংযোগ ঘটিয়েছে এই সেতুটি। তবে পর্যটকরা আর উপভোগ করতে পারবেন না লক্ষ্মণঝোলার রোমাঞ্চ। এরপর থেকে কেবল ইতিহাসের পাতাতেই ঠাঁই পেতে চলেছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের সুবিখ্যাত পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ লক্ষ্মণঝোলা।