ওয়েব ডেস্ক : সংসদ অচলের জন্য কার্যত সরকারকেই দায়ী করে মোদীকে বিঁধলেন আডবাণী। লোকসভায় বললেন, পরিস্থিতি দেখে তাঁর ইস্তফা দিতে ইচ্ছে করছে। নোট বাতিল নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্যও সরব হয়েছেন বিজেপির একসময়ের লৌহপুরুষ। লালকৃষ্ণ আডবাণীর ক্ষোভ প্রকাশে মুচকি হাসছে কংগ্রেস। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। 'বিজেপিতে এখন মোদী বিনা গীত নাই।' লালকৃষ্ণ আডবাণীকে দলের নেতারা আর ভুলেও লৌহপুরুষ নামে ডাকেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৯০ ছুঁইছুঁই বৃদ্ধ পিতামহ নিজের মতো করে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোণঠাসা অবস্থায় নাম না করে রোজ তোপ দাগছেন। সংবাদমাধ্যমকে শুনিয়েই তিনি নিশানা করছেন নরেন্দ্র মোদীকে।


আগামীকাল শেষ হচ্ছে সংসদের শীত অধিবেশন। সরকার-বিরোধী চাপান-উতোরে আজও দিনভর মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। স্পিকার সভা মুলতুবির কথা ঘোষণা করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আডবাণী। পাশে বসা স্মৃতি ইরানি ও রাজনাথ সিংকে লালকৃষ্ণ আডবাণী বলেন, লাগাতার সংসদের অধিবেশন ব্যাহত হওয়ায় তিনি হতাশ। পরিস্থিতি যা তাতে লোকসভা থেকে ইস্তফা দেবেন কিনা ভাবতে হচ্ছে।  


আরও পড়ুন- সংসদ বসতেই হট্টগোলের চেনা চিত্রনাট্য


প্রবীণ নেতা যখন ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তখন সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার। এরপর রাজনাথ সিংকে আডবাণী বলেন, আগামীকাল যাতে সংসদে নোট বাতিল নিয়ে আলোচনা হয়, সে জন্য কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলুক সরকার। এটা কারও হার-জিতের বিষয় নয়। বিনা আলোচনায় অধিবেশন শেষ হয়ে গেলে সংসদেরই পরাজয় হবে। লালকৃষ্ণ আডবাণীর মন্তব্যে সরকারকে চেপে ধরার নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেছে কংগ্রেস। আর অস্বস্তি চাপা দেওয়ার চেষ্টায় বিজেপি।


সংসদে অচলাবস্থা নিয়ে গত সপ্তাহেও সরকারকে বিঁধেছেন আডবাণী। সে দিন তিনি বলেন,না স্পিকার, ''না সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। কেউই সংসদ চালাতে পারছেন না। স্পিকারকে বলতে হবে, তিনি ব্যর্থ।"


প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আডবাণীকে আর আগের জায়গা দেননি মোদী। পাঠিয়ে দিয়েছেন বাণপ্রস্থে। রাজনৈতিক মহল বলছে, নোট বাতিলের পর বিজেপিতে মোদী-বিরোধী নেতার সংখ্যা কম নয়। কিন্তু, মুখ খোলার সাহস নেই কারও। আর আডবাণীও জানেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে লাভ নেই। তাই এখন মাঝে-মাঝে ফোঁস করে দলে কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটাই দেখতে চাইছেন তিনি। অন্ততঃ জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে পর্যন্ত।