নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলের অন্দরেই চলছে মকরসংক্রান্তি উদযাপন! রাঁচির বিরসামুন্ডা জেলে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে দই-চিঁড়ে! কি চমকে যাচ্ছেন? ভাবছেন জেলে এসব কী করে সম্ভব? আহা, ভুললে চলবে কি করে যে, এই এতোসব আয়োজন যে এক ভিভিআইপি বন্দির জন্য। মানে, বন্দির নাম যদি হয়- লালুপ্রসাদ যাদব, তাহলে জেলে বসেও মকর সংক্রান্তি উদযাপন ভীষণভাবে সম্ভব!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত লালুজির মকরসংক্রান্তি কাটছে এবার রাঁচির বিরসামুন্ডা জেলে। জেলে-বেলে-প্রকাশ্যে তিনি যেখানেই থাকুক, 'নিজগুণে' লালু সবসময়েই খবরের শিরনামে। সম্প্রতি লালুর দুই অনুরাগী ছিনতাইয়ের নাটক করে বিরসামুন্ডা জেলে ঢুকেছিলেন নেতার 'সেবা' করবেন বলে। পুলিস তাদের ফন্দি ধরে ফেলে। তাহলে কী হবে! সিদ্ধআন্ত নিতে বেশি দেরি হয়নি। জেলেই চলে এসেছে দই-চিঁড়ে। রবিবার সাতসকালেই রাঁচির বিরসামুন্ডা জেলে সমর্থকরা ঝাঁকাভর্তি করে দই-চিঁড়ে নিয়ে হাজির হয়েছেন। 


পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ ‌যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। তাই আপাতত তাঁর ঠিকানা রাঁচির বিরসামুন্ডা জেলে। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে তুলে নেওয়ার অপরাধে জেল হয়েছে আরজেডি প্রধানের। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে একাধিক মামলায় রয়েছে তাঁর নাম।


আরও পড়ুন-বিমানবন্দরে ৫৬ ইঞ্চি ছাতির আলিঙ্গনবদ্ধ নেতানিয়াহু


সম্প্রতি, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অন্য একটি মামলার শুনানিতে বিচারক শিবপাল সিংকেও হাসিয়ে দেন লালু। রায় দেওয়ার আগে লালু বলেন, ‘স্যার সামনেই মকর সংক্রান্তি। জেলে থাকলে দই ছিঁড়ে খাব কীভাবে?’ বিচারক বলেন, ‘মকর সংক্রান্তিতে যাতে দই-চিঁড়ের ব্যবস্থা হয়, জেল কর্তৃপক্ষকে তার নির্দেশ দিয়ে দেব।’ সেই দই-চিঁড়ের ব্যবস্থা বিরসামুন্ডা জেলে হল কিনা জানা যায়নি তবে সেই ব্যবস্থা করলেন সমর্থকরাই।