ওয়েব ডেস্ক: লালুর সেবা করতে ছক কষে জেলে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। ফাঁস হয়ে গেল দুই লালুভক্তের গোটা পরিকল্পনা।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে সাজা ঘোষণার দিনই বিরসা মুন্ডা জেলে যান মদন যাদব নামে এক লালু ঘনিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন রাঁচির বাসিন্দা সুমিত যাদব নামে এক ব্যক্তি। মদনের সঙ্গে ছিল লক্ষ্মণ নামে আরও একজন। অভি‌যোগের ভিত্তিতে সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে মদন ও লক্ষ্মণ। দু'জনকেই বিরসা মুন্ডা জেলে পাঠানো হয়।
পুলিসের সন্দেহ গোটা ঘটনাটাই সাজানো। লালুর দেখভাল করতে জেলে ‌যাওয়ার জন্য ছক কষে করে মদন ও লক্ষ্মণ। মদন নিজে একজন ব্যবসায়ী। দু'টি গোশালা ছাড়াও রাঁচিতে তার একটি বড় বাড়ি রয়েছে। একটি এসইউভি গাড়িও মালিক মদন। এরপরও সে কেন ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করতে ‌যাবে তা নিয়েই সন্দেহ হয় পুলিসের।
আরও পড়ুন-মদ্যপানের প্রতিবাদ, মাটিতে ফেলে ২ অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি!
পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে লালুর অত্যন্ত কাছের মানুষ এই মদন। বহুদিন ধরে তার সঙ্গে আরজেডি প্রধানের যোগাযোগ। অন্যদিকে লক্ষ্মণ এক সময় লালুর রাঁধুনির কাজ করতো।
এদিকে আরজেডির পক্ষ থেকে মদনের সঙ্গে লালুর পুরনো সম্পর্কের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। দলের পক্ষে শক্তি সিং যাদব বলেছেন, ওই দু'জনে কেন জেলে গেল তা পুলিসের খতিয়ে দেখা উচিত। ওরা কেউ লালুর ঘনিষ্ট নন। তবে দলের সদস্য।