ওয়েব ডেস্ক: বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীপদে নিতীশ কুমারকে সমর্থনে জন্য কংগ্রেসের চাপেই ভোলবদলালেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। সে রাজ্যে মোদীর বিজেপির উত্থান রুখতে এই মুহূর্তে নীতিশ-লালুর কম্বিনেশনে ''ধর্মনিরপেক্ষ'' জোটকে তুরুপের তাস করতে চাইছে রাহুল গান্ধী ব্রিগেড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এতদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতিশ কুমার না-পসন্দ ছিলেন লালুর। একগুঁয়ের মত বিরোধীতা করছিলেন এই পদে নীতিশের প্রোজেকশন নিয়ে। গতকাল অবশ্য সবাইকে চমকে দিয়ে লালু ঘোষণা করেন ''ধর্মনিরপেক্ষ জোট''-এর নেতৃত্ব দেবেন বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীই।


লালুর অনিচ্ছায় সিঁদুরে মেঘ দেখে ছিলেন নীতিশ। রবিবার ঘোষণা করেছিলেন আরজেডি-র সঙ্গে জোটে তিনি আর বিশেষ উৎসাহী নন। অন্যদিকে, রবিবার সন্ধেতেই মত বদলান লালু। ওই দিন মধ্যরাতেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর পরিবর্তিত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েদেন আরজেডি প্রধান।


''এই দেশ ও বিহারের ধর্মনিরাপেক্ষতার স্বার্থে আমি সব কিছু গিলে নিতে রাজি। রাজি আছি সব বিষ পান করতে।'' সাংবাদিকদের বলেছেন লালু। নীতিশকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রূপে মেনে নেওয়াকে এই ভাবেই বিষের রূপকের আড়ালে প্রকাশ করতে চেয়েছেন লালু।


লালুর মত পরিবর্তনের পিছনে অনেকটাই কাজ করেছে কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তাঁর রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব কোন দিকে সে বিষয়ে আগেই পরিস্কার মতামত জানিয়ে ছিলেন সোনিয়া পুত্র। রাহুলের বার্তা পক্ষান্তরে রাজেডি বসকে বুঝিয়ে দিয়েছে সোনিয়া গান্ধী তাঁকে পাত্তা দিতে নারাজ। সোনিয়ার গুডবুক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বুঝেই লালুর সিদ্ধান্ত বদল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।