নয়াদিল্লি: জমি অধিগ্রহণে গতি আনতে নতুন অর্ডিন্যান্স আনল কেন্দ্র। নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা, গ্রামোন্নয়ন, শিল্প করিডর সহ পাঁচটি ক্ষেত্র। এই পাঁচটি ক্ষেত্রে জমিদাতাদের সায় এখন থেকে আর বাধ্যতামূলক নয়। তবে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্রশ্নে একই রয়েছে আইন।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ। উপায় নেই বিল আনার। তাই আপাতত অর্ডিন্যান্সই ভরসা মোদী সরকারের। কয়লা ও বিমা ক্ষেত্রের পর এবার জমি অধিগ্রহণেও এল নতুন অর্ডিনান্স। সোমবার তা পাস হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।


বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল ঘটানো হয়েছে নতুন এই অর্ডিনান্সে। যার মধ্যে অন্যতম জমিদাতাদের হ্যাঁ-না-এর বিষয়টি।


শিল্প করিডর, পিপিপি প্রকল্প, গ্রামোন্নয়ন, কম খরচে আবাসন এবং প্রতিরক্ষা। এই পাঁচটি ক্ষেত্রে এখন থেকে আর বাধ্যতামূলক রইল না জমিদাতাদের সায় দেওয়া।


এর আগে জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী, যে কোনও পিপিপি প্রজেক্টে সত্তর শতাংশ জমিদাতার সম্মতি বাধ্যতামূলক ছিল।
বেসরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হত আশি শতাংশ জমিদাতার সম্মতি।    


নির্দিষ্ট করে দেওয়া পাঁচটি ক্ষেত্রে বহুফসলি জমিও অধিগ্রহণ করা যেতে পারে।


ছাড় দেওয়া হয়েছে স্যোশাল ইমপ্যাক্ট স্টাডি বা SIA-র ক্ষেত্রেও।


যদিও কোনও পরিবর্তন হয়নি জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসনের প্রশ্নে।


গ্রামীণ এলাকায় বাজারমূল্যের চেয়ে চার গুণ এবং শহর এলাকায় দ্বিগুণ দামে জমি কিনতে হবে।
শিল্প করিডর গড়ার ক্ষেত্রে জমি নিলে চাকরি দেওয়া বাধ্যতামূলক।


জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় প্রায় কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প আটকে রয়েছে। শিল্পমহলের এই অভিযোগ বহুদিনের। মোদী সরকারের আনা নতুন অর্ডিনান্সে খুশি বণিকসভাগুলি।
তবে অখুশি কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বাজেট অধিবেশনে এনিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে কেন্দ্র। জমি অধিগ্রহণ বিলের প্রশ্নে বরাবর সরব তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এযাত্রায় এখনও নীরব। দলের তরফে বলা হয়েছে, এ সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, তবে সবকিছু দেখেশুনে-যাচাই করে।