নয়া দিল্লি: জমি অধিগ্রহণ বিলের অর্ডিন্যান্সের বিরোধীতা করে দিল্লির জন্তর মন্তরে ধর্না শুরু করে দিলেন বর্ষীয়ান সমাজকর্মী আন্না হাজারে। এই অর্ডিন্যান্সের তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্না। তাঁর ভাষায় এই অর্ডিন্যান্স এক কথায় 'কৃষক বিরোধী।' তিনি সরকারের কাছে এই অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এর সঙ্গেই জানিয়েছেন এই অর্ডিন্যান্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করলে রাম লীলা ময়দানে বৃহত্তর প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলবেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ আন্নার সঙ্গে দেখা করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি নতুন মহারাষ্ট্র সদনে এই বৈঠক হবে। তবে আন্না জানিয়েছেন আপ নেতা-কর্মীরা এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতেই পারেন, কিন্তু ধর্না মঞ্চে ঠাঁই হবে না তাঁদের।


'ইন্ডিয়া আগেনস্ট কোরাপশন' আন্দোলনের জনক জানিয়েছেন কৃষক মারা এই অর্ডিন্যান্সের বদলে কেন্দ্র সরকারের উচিৎ এ দেশের কৃষকদের দুরাবস্থা দূরীকরণে সচেষ্ট হওয়া।


হরিয়াণার পালওয়াল থেকে শুক্রবার পদযাত্রা শুরু করেছিলেন এক দল কৃষক। আজ জন্তর মন্তরে আন্নার অবস্থান মঞ্চে যোগদান করছেন তাঁরা।  


জমি অধিগ্রহণ অ্যাক্ট, ২০১৩ অনুযায়ী পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে শর্তাধীনভাবে ৭০% ক্ষেত্রে জমির মালিকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে ৮০% ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের জন্য শর্তাধীনভাবে প্রয়োজনীয় জমি মালিকের অনুমতি।  


গত ডিসেম্বরে অর্ডিন্যান্স জারি করে এই জমি অধিগ্রহণ আইন পরিবর্তনে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকার। নয়া এই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ,পাঁচটি ক্ষেত্র- শিল্প করিডর,  পিপিপি প্রজেক্ট, গ্রামীণ পরিকাঠামো, প্রতিরক্ষা ও আয়ত্ত্বের মধ্যে আবাসন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আর প্রয়োজনীয় নয় জমি মালিকের সম্মতি।


তবে, সংসদের মধ্যে এবং বাইরে এনডিএ ভুক্ত দলগুলি ব্যাতীত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি এই অর্ডিন্যান্সের তীব্র বিরোধীতা করে। অভিযোগ, এই অর্ডিন্যান্স শুধুমাত্র পুঁজিপতি, কর্পোরেটদের স্বার্থরক্ষা করবে, এদেশে আরও কমবে চাষির অধিকার, বাড়বে কৃষক মৃত্যুর হার।  শুধুমাত্র সংসদীয় বিরোধী রাজনৈতিক দল নয়, এর বিরোধীতা করেছে বিভিন্ন গণসংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। চাপে পড়ে সরকার এই অর্ডিন্যান্স হঠিয়ে এখন সংসদে নয়া বিল আনার পথে।  


আজ কেজরিওয়াল ছাড়াপ আপ নেতা কুমার বিশ্বাসও আন্না হাজারের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই আন্দোলনে আম আদমি পার্টি সরাসরি সামিল হবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও কোনও দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।  


তবে আজ সংসদে বিতর্কিত বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন কোনও ভাবেই সরকার কৃষকের স্বার্থ লঘ্নিত করবে না।