ব্যুরো: জমি বিলে ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল মোদী সরকারের। এই ইস্যুতে নতুন কোনও অর্ডিন্যান্স নয়। মন কি বাত অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু রেল, সড়ক সহ ১৩টি ক্ষেত্রে ২৮ অগাস্টের জারি করা নির্দেশিকাই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পর পর তিনটি অর্ডিন্যান্স। দেশজোড়া বিক্ষোভ। সংসদে অচলাবস্থা। বাদ-বিবাদ-যুক্তি-তর্ক। অবশেষে পিছু হটল মোদী সরকার। ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিলেন জমি বিল নিয়ে নতুন করে অধ্যাদেশ আনবে না কেন্দ্র। এই ইস্যুতে UPA সরকারের নীতিই লাগু থাকছে।


তবে, জাতীয় সড়ক, রেল সহ যে তেরোটি ক্ষেত্রের জন্য UPA জমানায় পৃথক জমি আইন ছিল। সেগুলির ক্ষেত্রে ২৮ তারিখের সরকারি নির্দেশিকাই জারি থাকছে।


দু বছর আগে ইউপিএ জমানায় পাশ হওয়া জমি আইনে এই তেরোটি ক্ষেত্রের জন্য পৃথক জমি আইনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, দু হাজার পনেরোর পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন জমি আইন অনুযায়ী এই ক্ষেত্রগুলিতেও পুনর্বাসন ও  ক্ষতিপূরণের শর্ত প্রযোজ্য হওয়ার কথা বলেছিল মোদী সরকার। ওই ১৩টি ক্ষেত্রেই বর্ধিত হারে পুর্নবাসন শর্ত চালু করতে  অধ্যাদেশ জারি করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এখন রাজনৈতিক চাপে জমি আইন সংশোধনের মুখ্য সব প্রস্তাব থেকে পিছিয়ে এসেছে মোদী সরকার। শুধু ওই তেরোটি ক্ষেত্রে বর্ধিতহারে পুর্নবাসন নীতি প্রয়োগ করার জন্য শুক্রবার নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, কৌশল মাফিকই সংসদ এড়িয়ে ১৩টি ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করল সরকার। কারণ, নতুন করে অধ্যাদেশ জারি করলে বিহার ভোটের আগে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই অধ্যাদেশ নয়, নির্দেশিকা জারি করেই ইমেজ বজায় রাখল মোদী সরকার।