নিজস্ব প্রতিবেদন: জমির খাজনার কাগজ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট কিংবা প্যান নম্বরকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। এনআরসি নিয়ে হওয়া এক মামলায় এমনই মন্তব্য করল গুয়াহাটি হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'ফিরে এসে শুটিং শুরু করব', শেষ ফোনে চন্দননগরের বাল্যবন্ধুকে বলেছিলেন তাপস


উল্লেখ্য, জমির দলিলকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু অসমে এনআরসির লিস্ট থেকে বাদ পড়া মানুষজন এখনও সেইসব কাগজ জোগাড় করতেই ব্যাস্ত।


গত বছর অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন  ১৯ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ হিন্দু। সিএএর সাহায্যে নিয়ে ওই ১২ লাখ মানুষ রেহাই পেতে পারেন। কিন্তু সমস্যা তালিকায় নাম না থাকা মুসলিমদের নিয়ে। এমনই এক মহিলা গুয়াহাটি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে।


আরও পড়ুন-'দাদার কীর্তি' করে টাকা পাননি, কাগজে মুখ ঢেকে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতেন নায়ক তাপস


রাজ্যে ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান জাবেদা বেগম ওরফে জাবেদা খাতুন নামে এক মহিলা। আদালতে তিনি যেসব নথি জমা করেন তার মধ্যে ছিল গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া তাঁর বাবা ও স্বামীর পরিচিতি সংক্রান্ত পত্র। কিন্তু তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবার যে সম্পর্ক রয়েছে তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি জাবেদা। হাইকোর্টে বিচারপতি মনোজিত্ ভুঁইয়া ও বিচারপতি পি সইকিয়া ২০১৬ সালের এক আদেশ উল্লেখ করে বলেন, প্যান বা ব্যাঙ্কের নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না।


পাশাপাশি, জমির খাজনার রিসিপ্ট নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। ট্রাইবুন্যাল এক্ষেত্রে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।