নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীতে পুলিস-আইনজীবীর বিতণ্ডা অব্যাহত। গতকাল পুলিসের বিক্ষোভ প্রতিবাদে গ্রেফতারের দাবি জানালেন আইনজীবীরা। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল পাটিয়ালা হাউজ, সাকেত জেলা কোর্টের সদর দরজায়। রোহিনি জেলা আদালতের এক আইনজীবী কেরোসিন লাগিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন। আরও এক আইনজীবী আদালত ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেন। দিনভর এভাবেই গতকালের মতো আজও উত্তপ্ত রইল রাজধানী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল পুলিসের ম্যারাথন প্রতিবাদের জন্য দিল্লি পুলিস প্রধানকে আইনি নোটিস পাঠান এক আইনজীবী। ওই নোটিসে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। দিল্লি পুলিসের অবস্থান নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয় বার কাউন্সিলের তরফে। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জানান, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে পুলিসকে। বিচারপতিদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছে পুলিস। আদালতকে এভাবে অবমাননা উচিত নয় বলে জানান তিনি।



আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি শাসন এড়াতে একমাত্র বিকল্প পথ বিজেপির সঙ্গেই সরকার গড়া, সেনাকে 'পরামর্শ' শরদের


উল্লেখ্য, শনিবার গাড়ি পার্কিং নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিসের তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় তিস হাজারি আদালত চত্বরে। পুলিসের তরফে গুলি চালনা হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।  আহত হন বেশ কয়েক জন পুলিস কর্মী ও আইনজীবী। এ ঘটনায় বেশ কয়েক কনস্টেবলের উপর পদক্ষেপ করা হয়। এরপরই দিল্লির পুলিসের প্রধান কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিস কর্মীরা। খোদ দিল্লির পুলিস কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে।  শেষমেশ কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিলে এ দিনের মতো বিক্ষোভ উঠে যায়।