ওয়েব ডেস্ক : ১৯৯১ সালে একটি প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা রমেশ রাকসালে। কাজের মাঝেই বিয়ে। ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে সংসার। বর্তমান তাঁর পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র। এখনও অধ্যাপনা করেন তিনি। কিন্তু, তার মাঝে হঠাত্‍ই 'ছন্দপতন'। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কাছে নিজের ও পরিবারের জন্য স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানালেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেনও এমন আর্জি?


রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা চিঠিতে রমেশ রাকসালে জানিয়েছেন, কলেজে মারাঠি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে অধ্যাপনার দায়িত্বে থাকলেও ২০০৬ সালে তিনি জানতে পারেন, কলেজের অধ্যক্ষ কয়েকজন অধ্যাপকের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ইনসিওরেন্সের একটি টাকাও জমা করেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাঁকে সে বিষয়ে কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। এমনকি, এনিয়ে বিদারের সাতপুরা থানায় একটি অভিযোগ দিয়ের করতে গিয়েও সহযোগিতা পাননি বলে তাঁর অভিযোগ।


আরও পড়ুন- প্রেমিকাকে খুনের ছক, বর্তমান প্রেমিকাকে সুপারি দিল প্রাক্তন প্রেমিক


অবশেষে বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা করার পর রমেশ রাকসালেকে তিনবার বদলি করা হয় অন্য কলেজে। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর বেতন। সেই ২০০৬ সাল। আর তখন থেকে আজ ২০১৭ পর্যন্ত একটি টাকাও পাননি তিনি। কলেজ পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর কাছে কোনও ছাত্রছাত্রীই পড়তে রাজি নন। আর তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত।



রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, গত ১১ বছর ধরে লড়াই করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বাইরে থেকে ঋণ নিতে হয়েছে প্রচুর টাকা। এখন সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতাও নেই তাঁর। নেই লড়াই করার শক্তি। তাই এবার স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবার।