নিজস্ব প্রতিবেদন- নরখাদক চিতাবাঘকে শাস্তি দিল বন দফতর। তা নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু করেছেন পশুপ্রেমীরা। তাঁদের যুক্তি, কোনও প্রাণীকে শাস্তি দেওয়ার এক্তিয়ার নেই বন দফতরের। চিতাবাঘ যদি নরখাদক হয়ে ওঠে তবে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তা না করে কেন শিকারি নিয়োগ করে নরখাদক চিতাবাঘকে খুন করল বন দফতর! যদিও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সেই নরখাদক চিতাবাঘ আটজন মানুষকে খুবলে খেয়েছে। তাই সেটিকে গুলি করে খুন করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা ছিল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের বিতারগাও গ্রামে একটি কলা বাগানের মধ্যে লুকিয়ে ছিল চিতাবাঘটি। বন দফতর খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয়। তারপর বন দফতরের নিয়োগ করা এক শিকারি সেই নরখাদক চিতাবাঘটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় চিতাবাঘটি। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোলাপুর, আহমেদনগর, ঔরঙ্গাবাদ-এর মোট আট জন মানুষকে খুবলে খেয়েছে ওই নরখাদক চিতাবাঘ। এমনকী কারমালা অঞ্চলে একটি নবছরের শিশুকে চিতাবাঘটি বনের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-  প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় কার্যালয় বিক্রির বিজ্ঞাপন পড়ল Olx-এ!


চলতি মাসের শুরুতেই চিতাবাঘটিকে গুলি করে মারার নির্দেশিকা জারি করেছিল বন দফতর। কিন্তু দিন পনেরো খোঁজ চালিয়েও সেটির হদিশ পাচ্ছিলেন না বন কর্মীরা। শেষমেষ স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘটিকে ওই কলাবাগানে লুকিয়ে থাকতে দেখেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা দাবি করেছেন, প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়ে বাঘটিকে কাবু করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনওভাবেই সেই নরখাদককে বাগে আনতে পারছিলেন না। তাই শেষে বাধ্য হয়েই গুলি করে সেটিকে খুন করা হয়। নরখাদক চিতাবাঘের মৃত্যুর পর হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত কয়েক মাস ধরে ওই নরখাদক চিতাবাঘের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে ছিলেন তাঁরা। এমনকী সন্ধ্যা নামলেই বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।