নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার জেএনইউ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোরদার সওয়াল করলেন উপাচার্য মামিদালা জগদীশ কুমার।  তিনি বলেন ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক।  সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফ্লাইং ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী Uber! উড়ন্ত গাড়ি বানাবে Hyundai


গত রবিবার জেএনএইয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক পেটায় মুখোশপরা একদল দুষ্কৃতী। হামলা করা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের হস্টেলেও।  ওই ঘটনায় মাথা ফাটে বাম ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। মারে গুরুতর আহত হন এক অধ্যাপিকাও।  এদিকে, ওই ঘটানার পর মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিস। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঐশী ঘোষও।  এ ব্যাপারে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদেরই দায়ি করেন জগদীশ কুমার।  এনিয়ে অবশ্য চাপ বাড়ছে পুলিসের ওপরে।




মঙ্গলবার জগদীশ কুমার বলেন, জেএনইউ ক্যাম্পাস তর্ক-বিতর্কের জন্য পরিচিত। এখানে সবকিছুই মীমাংসা হয়ে বিতর্ক-আলোচনার মাধ্যমে।  হিংসা কোনও সমাধানই নয়।  ক্যাম্পাসে শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সব চেষ্টা করা হবে। রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। উইন্টার সেশনের জন্য নাম নথিভূক্ত করতে পারেন পড়ুয়ারা।  যারা রেজিস্ট্রেশনের বিপক্ষে তারা রেজিস্ট্রেশন রুমে ভাঙচুর করেছে। আমার ওপরে হামলা চালিয়েছিল গত ১৪ ডিসেম্বর। যাই হোক, পুরনো সবকিছু পেছনে ফেলে এসো নতুন করে শুরু করা যাক। সব পড়ুয়াদেরই বলছি, জেএনইউ নিরাপদ জায়গা।  ক্যাম্পাসে ফিরে এসো।


প্রসঙ্গত, JNU-র উপাচার্য জগদীশ কুমার সোমবার জেএনইউ-র হামলার তীব্র নিন্দা করে দাবি করেন, এই ঘটনা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের কৃতকর্মেরই ফল। একের পর এক টুইট করে তিনি জানান, আহত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি তাঁর সমবেদনা রয়েছে। কিন্তু যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজকর্মের সহযোগিতা করছেন, তাদের পাশেই কর্তৃপক্ষ থাকবে।


জগদেশ কুমার দাবি করেন, কিছু বিক্ষোভকারী পড়ুয়া হিংসা ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্তকরণে ইচ্ছুক পড়ুয়াদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ সব কারণেই এই বর্তমান পরিস্থিতি। জেএনইউ-র ঐতিহ্য বিরোধী এবং গুন্ডাগিরি চলছে। উপাচার্য জানান, এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। দোষীরা শাস্তি পাবেই।



আরও পড়ুন-নতুন জেলা হবে সুন্দরবন, কেন্দ্র দেয়নি, আমার টাকা হলে গঙ্গাসাগরে ব্রিজ বানিয়ে দেব : মমতা


অন্যদিকে পাল্টা JNUSU-র সভানেত্রী ঐশী স্পষ্ট অভিযোগ করেন, হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে উপাচার্য দুষ্ক়ৃতীদের মদত দিচ্ছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ উপাচার্য। নিজের দায় স্বীকার করে তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত। পাশাপাশি মাথায় ১৫-১৬টা সেলাই নিয়ে আক্রান্ত ঐশী ঘোষ সাফ জানান, পরিকল্পনা করেই এই হামলা করা হয়েছে। মার খাওয়ার পরও হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।