নিজস্ব প্রতিবেদন : নজিরবিহীন বললেও কম বলা হয়। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ্যেই দেশের প্রধান বিচারপতির দিকে আঙুল তুললেন সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি। শীর্ষ আদালতে মামলা বণ্টন থেকে বিচারপতিদের নিয়োগ প্রতিটি বিষয়েই গড়মিলের অভিযোগ তুলে শুক্রবার মুখ খোলেন তাঁরা। বিচারবিভাগের ভিতরে দুর্নীতি নিয়েও এই দিন প্রশ্ন তোলেন ওই চার বিচারপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নজিরবিহীন! 'সুপ্রিম বিচারের নিরপেক্ষতা' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতিরা


শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন বিচারপতি জে চেমালেশ্বর, বিচারপতি কুরিুয়ান জোসেফ, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি মদন লকুর। তাঁরা বলেন, বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা চাপা অসন্তোষ ছিল। সেই সঙ্গে এবার দেশের শীর্ষ আদালতের প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে সরব হলেন ওই চার বিচারপতি। বিচারপতি চেমালেশ্বর বলেন, ''গোটা বিষয় নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হই আমরা।''


এই মর্মে মাস কয়েক আগে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে। সাত পাতার এই চিঠির বয়ানে বলা হয়েছে,


তাঁরা কিছুদিন ধরে দেখতে পাচ্ছেন মামলা বণ্টের সময় নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হচ্ছে না।
শীর্ষ আদালতের প্রশাসনিক কাজকর্মে অনেক ক্ষেত্রেই থাকছে গড়মিল।
গত কয়েক মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টে যা ঘটছে তা অবাঞ্ছিত।
মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী বেঞ্চের শক্তি নির্ধারণ করা হয়। এখানে সব ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।


প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসে মেডিক্যাল দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি চেলামেশ্বরের সঙ্গে বিতর্ক বাধে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের৷ একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে উঠে আসে দুর্নীতি। আর তার জেরেই কলেজটিকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়৷ এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চায় কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ এই মামলায় বিচারবিভাগের বিরুদ্ধেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে৷ এই তথ্য সামনে আসতেই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ওই মামলা অন্য বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন৷ যার প্রতিবাদ করেছিলেন চেলামেশ্বর৷



কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের তত্কালীন বিচারপতি সিএস কারনানের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। বিচারপতিদের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে কারনানকে।