দিল্লির `প্রকৃত` ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে, উপ-রাজ্যপাল `বাধা` সৃষ্টি করতে পারেন না
আদালত বলল, দিল্লির আপ সরকারের কোনও নীতি রূপায়নের ক্ষেত্রে উপ-রাজ্যপাল `বাধা` সৃষ্টি করতে পারেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচিত সরকার না কি উপরাজ্যপাল, দিল্লি প্রশাসনে কে আসল ক্ষমতার অধিকারী? দিল্লির আপ সরকার বনাম উপ-রাজ্যপাল মামলায় বুধবার ঐতিহাসিক রায় দিল দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দিল্লি শাসনের 'প্রকৃত' দক্ষমতা রয়েছে সরকারের হাতাই। উপ-রাজ্যপালকে বরং সরকারের সাহায্য নিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। প্রত্যাশিতভাবেই এই রায়ে উজ্জিবীত আপ সরকার। এর আগে একই মামলায় উপ-রাজ্যপালের কর্তৃত্বকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। কিন্তু, এদিন সেই রায়কে কার্যত খারিজ করে দিল সুপ্রিম রায়।
এক ঝলকে দেখে নিন, সুপ্রিম কোর্ট ঠিক কী কী বলল-
দিল্লিকে রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না।
প্রতিটি সাংবিধানিক সংস্থাকে সংবিধানের মূল নীতি মেন চলতে হবে এবং তাদের কাজকর্মে যেন সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পায়।
দিল্লির উপ-রাজ্যপাল 'যান্ত্রিকভাবে' কাজ করে যেতে পারেন না। ক্যাবিনেটের সাহায্য ও পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে কাজ করতে হবে। সংবিধানের ২৩৯এএ ধারা অনুসারে, উপ-রাজ্যপাল ক্যাবিনেটের সাহায্য ও পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য।
যেকোনও সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেট উপ-রাজ্যপালকে অবশ্যই জানাবে। কিন্তু, তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে উপ-রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন নেই ক্যাবিনেটের।
ভূমি ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যতীত অন্য যেকোনও বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আছে দিল্লি সরকারের।
উপ-রাজ্যপালকে দিল্লি সরকারের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করে কাজ করতে হবে এবং যেকোনও মতানৈক্য আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলতে হবে।
দিল্লির আপ সরকারের কোনও নীতি রূপায়নের ক্ষেত্রে উপ-রাজ্যপাল 'বাধা' সৃষ্টি করতে পারেন না।
উপ-রাজ্যপালকে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম নির্দেশ : রাজ্য নয়, ডিজিপি নিয়োগ করবে ইউপিএসসি