নিজস্ব প্রতিবেদন- সুড়ঙ্গ এখন ভারতীয় সেনার কাছে নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। সুড়ঙ্গ দিয়েই অস্ত্র ও ড্রাগস পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় সেনার কর্তারা। গত কয়েক মাসে একাধিক সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সেনা কর্তারা। তবে এদিন সেনা লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস রাজু জানিয়েছেন,সীমান্তে সুড়ঙ্গ খুঁজে বের করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে সেনা। ফলে সুড়ঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এবার ব্যর্থ করা যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি। গত কয়েক মাসে ড্রোন ও সুড়ঙ্গ যেন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে Indian Army-র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে কমবয়সীদের ভর্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে এদিন দাবি করলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস রাজু। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন,জঙ্গিদের কার্যকলাপের সব খবরই সেনার কাছে রয়েছে। সময় ও সুযোগ বুঝে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। এদিন তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে জঙ্গি সংগঠনগুলিতে ভর্তি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।  বি এস রাজু এদিন জানিয়ে দিলেন, উপত্যকায় আর মাত্র ২১৭ জন জঙ্গি বেঁচে রয়েছে। তিনি আরও জানান,গতবছর জঙ্গি দলে যোগ দেওয়া ১৭ জন যুবককে আবার ফেরানো সম্ভব হয়েছিল। 


আরও পড়ুন-  আত্মমর্যাদায় ঘা পড়লে সুপারপাওয়ারকেও ছেড়ে কথা বলবে না ভারত: রাজনাথ


এদিন বি এস রাজু বলেন, ''বিপথে যাওয়া যুবকদের প্রতি আবার অনুরোধ, তোমরা যে কোনও সময় ফিরে আসতে পারো। সেনা ও প্রশাসন তোমাদের পূর্ণ সুরক্ষা দেবে। তোমাদের বাড়ির লোক, আমাদের হেল্পলাইনে জানাও। আমরা তোমাদের ফেরার রাস্তা গড়ে দেব। সেনা কিন্তু জঙ্গিদের প্রথমেই মারতে চায় না। যে কোনও অপারেশনের সময় আমরা সাধারণ মানুষকে আগে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। জঙ্গিরা কোথাও আটকে রয়েছে জানতে পারলে আমরা আগে সেখানে পৌঁছে তাদের আত্মসমর্পণের জন্য বলি। জঙ্গিদের পরিচয় জানা গেলে তাদের বাড়ির লোকজনকেও ডাকা হয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে তবেই আমরা তাদের প্রাণে মারতে বাধ্য হই। অপারেশনের সময় জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের ঘটনাও ঘটেছে। আমরা যুবসমাজকে সঠিক পথে চালিত হওয়ার অনুরোধ করছি।''