নিজস্ব প্রতিবেদন— সারা দেশে করোনার থাবা। গৃহবন্দি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ। রপ্তানি হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত গরুকে খাওয়াতে হচ্ছে স্ট্রবেরি। এমনই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়। লকডাউনের প্রভাব পড়েছে সবজি ও ফলের  রপ্তানিতে। যথাযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা নেই। অগত্যা নষ্ট হচ্ছে টন টন স্ট্রবেরি ও ব্রকোলি। গরমের সময়ে চাহিদা বাড়ে স্ট্রবেরির। তাই প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই বছরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন পেশায় কৃষক অনিল শালুঙ্কে।  হতাশ হয়ে গরুকে স্ট্রবেরি খাওয়াতে খাওয়াতে অনিল বললেন, "স্ট্রবেরির মূলত গ্রাহক হলেন পর্যটকরা ও আইসক্রিম বিক্রেতারা। কিন্তু লকডাউনের বাজারে কোথায় পর্যটক, কোথায় আইসক্রিম!"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুম্বাই থেকে ২৫০ কিলোমিটার দুরে শালুঙ্কের কৃষিজমি। রপ্তানি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে তাঁর প্রায় আট লাখ টাকার স্ট্রবেরি। বেঙ্গালুরুর কৃষক মুনিষামাপ্পা ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ফলিয়েছেন আঙুর। কিন্তু লকডাউনের এই বাজারে শেষ পর্যন্ত জঙ্গলে ফেলে দিতে হয়েছে সব আঙুর। তাঁর কথা অনুযায়ী তিনি গ্রামবাসীকে বলেছিলেন সব আঙুর নিয়ে যেতে, অনেকে নিয়েও গিয়েছেন। কিন্তু এত আঙুর কী করবেন? তাই জঙ্গলে ফেলে দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন— করোনা হেল্পলাইন নম্বরে বারবার ফোন করেও উত্তর মিলছে না, বাড়ছে ক্ষোভ


ভারত থেকে আঙুর রপ্তানি হত ইউরোপের বাজারে। কিন্তু লকডাউনের জেরে সব বন্ধ। ইউরোপে তাণ্ডব চালাচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা। বন্ধ ইউরোপে আঙুর রপ্তানি। তাই চরম ক্ষতির মুখ দেখছেন চাষীরা। এমনটাই জানিয়েছেন ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি আঙুর রপ্তানিকারক শায়াদরি ফার্মের মালিক দানেশ আগলে। 
হাল খারাপ ফুলচাষীদেরও। লকডাউনের জেরে থমকে গিয়েছে বিয়ে, জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠান। স্বভাবতই চাহিদা নেই ফুলের। ফুল বিক্রেতা রাহুল পাওয়ার যে ফুল আগে ২০ টাকায় বিক্রি করতেন এখন ১ টাকায়ও সেই ফুল কেউ কিনছেন না। ফুল থেকে শুরু করে দামি ফল, সবই যাচ্ছে হয় গরুর পেটে, না হলে মাটির নিচে।