ওয়েব ডেস্ক : বুধবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল দেশে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করা সম্ভব। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিশন এই কাজে নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে পারবে। তবে, বিষয়টি নিয়ে আইন পাশ করানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই রেশ ধরে শুক্রবার কমিশনের জানিয়ে দিল, কেন্দ্র বা নির্বাচন কমিশন শুধু রাজি হলে হবে না, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক স্তরের রাজনৈতিক দলগুলিকেও এই বিষয়ে সহমত পোষণ করতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতীয় সংবিধানের ৮৩(২) ও ১৭২(১) ধারা অনুসারে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত পরবর্তী নির্বাচনের সময় থাকে। তারপরই সেই কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন অনিবার্য হয়ে ওঠে। কখনও আগের সরকারই ফিরে আসে দায়িত্বে, আবার কখনও নতুন দলের ওপর রাজ্য বা কেন্দ্র চালানোর ভার তুলে দেন দেশের ভোটাররা।


আরও পড়ুন- একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন সম্ভব আগামী বছর থেকেই


২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারকে বেলাইন করে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে। আসার পর থেকেই পাঁচ বছর অন্তর লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। ফি-বছর জনগণকে নির্বাচনের থেকে রেহাই দিতে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিপুল খরচের ভার কমাতে এই পথই আদর্শ বলে বারংবার দাবি করেছেন মোদী। যদিও তাঁর এই সওয়ালের বিপক্ষে রয়েছে বিরোধী দলগুলি।


প্রধানমন্ত্রীর সেই পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য কয়েকমাস আগে থেকেই কাজে নেমেছে কমিশন। বুধবার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত বলেন, "কেন্দ্র আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল একসঙ্গে নির্বাচন করার। ২০১৮-র সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা প্রস্তুত হয়ে যাব।'' তাঁর সেই কথার রেশ ধরেই শুক্রবার কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ''একসঙ্গে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমরা তৈরি হয়ে গেলেও, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এব্যপারে সহমত প্রশন করতে হবে। তারপর তা আইন পাশ করিয়ে প্রণয়ন করতে হবে।''