জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভার সাংসদ দানিশ আলিকে দল থেকে সাসপেন্ড করল বহুজন সমাজ পার্টি। সম্প্রতি দানিশ আলি জোরাল ভাবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাড়িয়েছিলেন। কিছুদিন আগে সংসদে অত্যন্ত কুত্সিত ভাষায় নিশানা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি। সেই দানিশকে দল থেকে সাসপেন্ড করল মায়াবতীর দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বুকে পেসমেকার; শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, কাঠগড়ায় এসএসকেএম


মহুয়ার পাশে দাঁড়ানোর জন্যই কি তাঁর উপরে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল? নাকি বেশি কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতাই এই সাসপেনশনের কারণ? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দলের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দল বিরোধী কাজের জন্যই দানিশকে সাসপেন্ড করা হল। কারণ তাঁকে বারবার বলার পরও অবাঞ্ছিত মন্তব্য ও দলের নীতি বিরোধী কার্যকলাপ থেকে তিনি বিরত হননি। তাই দানিশকে সাসপেন্ড করা হল।


এদিকে, দলের ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দানিশ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, সারাজীবন দলের হাত শক্ত করতে কাজ করে গিয়েছি। এমন কোনও কাজ করিনি যাতে দলের ভাবমূর্তির কোনও ক্ষতি হয়। আমরোহার মানুষ তার সাক্ষী। বিজেপির জনবিরোধী কার্যকালাপের বরাবর বিরোধিতা করে এসেছি। ভবিষ্যতেও তা করব। এটা করা যদি অপরাধ হয় তাহলে তা আমি করেছি। তার জন্য আমি শাস্তি নিতে তৈরি। দলের এই সিদ্ধান্ত খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তবে সাংসদ নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার জন্য মায়াবাতীকে ধন্য়বাদ।


সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি তাঁকে সাম্প্রদায়িক কটূক্তি করলে একাই তার প্রতিবাদ শুরু করেন দানিশ। এনিয়ে অধিকাংশ বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে দেখা করে বিদুরির শাস্তির দাবি করেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে সংসদের বাইরে প্রতিবাদ করেন।


উল্লেখ্য, দানিশকে সাসপেন্ড করার পেছনে যে কারণই থাকনা কেন গত ২ বছর দলের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল না দানিশের। আদানি ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে দানিশ সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে সরব ছিলেন। পাশাপাশি রমেশ বিদুরির মন্তব্য নিয়ে সরব ছিলেন তিনি। তবে রাজনীতিতে টিকে থাকবেন বলে জানান।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)