নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভার ১৬৮ পোলিং কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত ১১ এপ্রিল। ওই পোলিংকেন্দ্রে পুনর্নির্বাচন হতে চলেছে আগামী ১২ মে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৬৮ নম্বর ধারা ও ২ নম্বর উপধারা অনুযায়ী পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হল ১৬৮টি পোলিং কেন্দ্রের ভোট। ১২ মে ওই কেন্দ্রগুলিতে পুনর্নির্বাচন। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ'। 



পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্র। প্রতিটি পোলিং কেন্দ্রে ভোটারদের পুনর্নির্বাচনের ব্যাপারে অবহিত করতে নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এর পাশাপাশি জানাতে হবে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরও। 


১১ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটে ১৮টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট পড়েছে ৬৯.৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি  ভোটদানের হারের নিরিখে তৃতীয় স্থানে ত্রিপুরা। ভোট পড়েছিল ৮৩.১২ শতাংশ। তার আগে লাক্ষাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গে যথাক্রমে ৮৩.৭৯% এবং ৮৩.২৬%।        


দীর্ঘ আড়াই দশক পর ত্রিপুরায় পতন হয়েছে বাম দুর্গের। ওই রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ত্রিপুরা পশ্চিম আসনে এবার বহুমুখী লড়াই। তবে ধারেভারে বিজেপি এগিয়ে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। দলের সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তার কয়েকদিনের মধ্যে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে রাহুল গান্ধীর দল। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বিজেপির সঙ্গী দল আইপিএফটি আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। বৃষকেতু দেববর্মণকে প্রার্থী করে তারা। এদিকে আবার বামেদের প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ শঙ্করপ্রসাদ দত্ত। পশ্চিম ত্রিপুরায় বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রতিমা ভৌমিককে। 


আরও পড়ুন- বউকে দেখেননি, দেশ সামলাবেন কীভাবে? নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা মমতার