মোদীকে ক্লিনচিট নিয়ে বিতর্কে নির্বাচন কমিশনে, মতের অমিল স্বাভাবিক, বললেন সুনীল অরোরা
সেনার নামে ভোট চাওয়ার পর নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে বিতর্ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়ায় নারাজ অশোক লাভাসার জেরবার নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশন ব্যাখ্যা দিল, কমিশনের সকলে একে অপরের ক্লোন হবেন, এমনটা প্রত্যাশিত নয়। শেষ দফার আগে সিনিয়র আধিকারিকের অসন্তোষপ্রকাশ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
২১ এপ্রিল গুজরাটের পতনে সেনাবাহিনীর নামে ভোট চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে সেনাকে ভোটের ময়দানের ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমইশনের শরণাপন্ন হয় কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। ৪ মে প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কমিটি। কিন্তু মোদীকে ক্লিনচিটের পক্ষে ছিলেন না লাভাসা। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দাবি, গত ৪ মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন নির্বাচনী আধিকারিক অশোক লাভাসা। তাতে লিখেছিলেন, তাঁকে কমিশনের বৈঠকে গরহাজির থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। কারণ, সংখ্যালঘু মত নথিবদ্ধ হচ্ছে না।
লাভাসার চিঠি নিয়ে বিতর্কের জেরে বিবৃতি জারি করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। সপ্তম তথা শেষ দফার আগে বিতর্ক এড়ানেো যেত বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে সুনীল আরোরা মনে করেন, তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনাররা একে অপরের ক্লোন হবেন না, এটাই প্রত্যাশিত। অতীতেও একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ হয়েছে। এটা হতে পারে। এটা হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা নির্বাচন কমিশনের মধ্যে থাকে। অথবা অনেক পরে নির্বাচন কমিশনারদের লিখিত বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অসময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার চেয়ে নীরবতা অনেক শ্রেয় বলে মত সুনীল আরোরার।
নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবারের ভোটারদের কাছে বার্তা দিয়েছিলেন, প্রথমবারের ভোটারদের বলতে চাই, পাকিস্তানের বালাকোটে হামলা চালানো বীর জওয়ানদের উতসর্গ করুন জীবনের প্রথম ভোট। তার আগেই নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু মোদী-শাহ জুটি গোটা প্রচারপর্ব জুড়ে বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রচার চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন- রাস্তা দখল করে পার্টি অফিস নির্মাণের অভিযোগ মোদীর, আইনি চিঠি পাঠালেন অভিষেক