নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দুজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ওই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার ওই মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। জানায়, ভোটপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঝাড়খণ্ড ও  পশ্চিমবঙ্গে পুলিস পর্যবেক্ষক হিসেবে বিবেক দুবেকে নিয়োগ করেছিল নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে অজয় নায়েককে। জনস্বার্থ মামলাকারীর দাবি, বিশেষ সুবিধা করে দিতে আইন বিরুদ্ধভাবে দুজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও এমআর শাহ জানিয়ে দেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী জনস্বার্থ মামলাটি গ্রহণ করা সম্ভব নয়। জনস্বার্থ মামলাকারী বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী রামু মান্ডি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।


তবে রামু মান্ডির আইনজীবী সওয়াল করেন, ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোটপ্রক্রিয়া তো এখনও চলছে। ফল ঘোষণাও বাকি। তখন বেঞ্চ জানায়, ''হাইকোর্টে যান। সেই অনুমতি আপনাকে দিচ্ছি''। রামু মান্ডির দাবি, পক্ষপাতিত্ব ও সুবিধা করে দিতে পর্যবেক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এটা নির্দল প্রার্থীর স্বার্থ বিরোধী। কর্মরত আধিকারিকরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। এমতাবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিয়োগের নেপথ্যে কোনও কারণ নেই। 


বলে রাখি, ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে উষ্মার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে বারবার তৃণমূল নেত্রী দাবি করে আসছেন, কেন্দ্রের মদতেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বসে দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্রের স্বামী কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছেন। 


আরও পড়ুন- শুরুতেই গরমিল হলে ভিভিপ্যাট ও ইভিএম ১০০ শতাংশ মেলানোর দাবি বিরোধীদের