নয়া দিল্লি: প্রত্যাশা মতই আজ সংসদে বিজেপি সরকারকে কোণঠাসা করতে সংসদে একজোট হল কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএম। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি তুলে নেওয়া, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এদিন সংসদের উচ্চ কক্ষে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার কেন্দ্র সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছিলেন, আগামী অর্থ বর্ষের মধ্যেই রান্নার গ্যাস থেকে সমস্ত ভর্তুকি তুলে নেবে সরকার। আর সেই মতই প্রতিমাসে রান্নার গ্যাসে ৪টাকা করে দাম বাড়ানোর কথাও জানায় কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এদিন রাজ্যসভায় সরব হয়ে কংগ্রেস জানায়, " সরকার মুখে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বললেও কাজে তা করছে না। এই সরকার গরিবকে মেরে ফেলতে চাইছে। প্রত্যেক মাসে ৪ টাকা করে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। ১২ মাস পর ৪৮ টাকা করে বেশি দিতে হবে আম আদমিকে। এটা জন-বিরোধী নীতি"। 


একইভাবে এদিন রাজ্যসভায় সুর চড়িয়েছে সিপিএম-তৃণমূলও। রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, কেন্দ্রের 'জন-বিরোধী নীতি'র বিরোধিতা করে বলেন, "বিজেপি সরকার যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা তাঁরা মানছে না"। আচ্ছে দিনের প্রশ্ন তুলে এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করেন সিপিএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরিও। বিরোধীদের হৈ হট্টগোলে এদিন দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। তবে বিরোধীদের এই অভিযোগে একবারের জন্যও কর্ণপাত করেনি সরকার। উল্টে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর যুক্তি, "শক্তপোক্ত অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর জন্য এখনই অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হাঁটতে হবে ভারতকে"। কোনওভাবেই ভর্তুকির রাজনীতিকে প্রশয় দেওয়া হবে না, একথাও জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।  
 
বিরোধীদের একাংশের মত, যেহেতু সামনে কোনও বড় ভোটের সম্মুখীন বিজেপিকে হতে হবে না, সেই কারণেই চটজলদি একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে সরকার। অন্যদিকে, বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে মাথায় রেখেই ফের একজোট হওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। এর আগে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখেই একজোট হয়েছিল ১৮টি রাজনৈতিক বিরোধী দল। যদিও বিরোধী সঙ্গ ত্যাগ করে মোদীর ঘরে ঢুকেছেন বিহারের ভূমিপুত্র নীতিশ কুমার। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সংসদে এই ইস্যু নিয়ে ফের একবার এককাট্টা হবে বিরোধীরা।