ওয়েব ডেস্ক: আড়াই মাস পর ডোক লা বিবাদে ইতি টেনেছে ভারত-চিন। তবে আর্থিক লড়াইয়ে দু’দেশ একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। গোটা বিশ্বে উৎপাদন শিল্পের হাব চিন। ভারতকে  উৎপাদনের গন্তব্য করতে মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। 'মেড ইন ইন্ডিয়া' ও 'মেড ইন চায়নার' লড়াইয়ে এখনও প‌র্যন্ত বেজিংয়ের পাল্লাভারী। তবে সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনু‌যায়ী, শিল্পের চাকা ভারতের দিকে ঘুরতে পারে বলে অনুমান অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের চেয়ে চিনে চিনে শ্রমিক পিছু ব্যয় অনেক বেশি। ইউরো মনিটরের সমীক্ষা বলছে, চিনে প্রতি ঘণ্টার মজুরি ৩.৬০ ডলার। ২০১১ সালের তুলনায় তা বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। পড়শি দেশের তুলনায় ভারতে প্রতি ঘণ্টার মজুরি পাঁচ ভাগের এক ভাগ। দু দেশের প্রতি ঘণ্টার মজুরির ফারাক ১৮৪ টাকা। গত এক দশকে চিনের অর্থনীতির বিপুল শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। সেই তালে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। এতে আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে উৎপাদন ব্যয়। সেজন্য বিনিয়োগকারীরা সস্তায় শ্রম খুঁজছেন। এক্ষেত্রে আদর্শ গন্তব্য হতে পারে ভারত।


মাস খানেক আগে চিনা সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল, উৎপাদন শিল্পে ‌যেভাবে ভারত এগিয়ে আসছে, তাতে আগামী দিনে তা চিনের পক্ষে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের প্রস্তাবে ঠাঁই পেয়েছে সস্তায় শ্রমিকের বিষয়টি। তবে ‌শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বেঁধে দিতে আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইন ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের পক্ষে সমস্যার কারণ হতে পারে। নিরুৎসাহিত হতে পারেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও।  


আরও পড়ুন,মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ফ্লপ, স্পষ্ট হল আরবিআই-এর রিপোর্টে