নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশে সঙ্কটে কমলনাথ সরকার। শাসক জোটের বিধায়কদের ভাঙিয়ে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ শাসক কংগ্রেসের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। নিখোঁজ বিধায়কদের খোঁজ মেলেনি। বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র দাবি করেছেন, ১৫ থেকে ২০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম থেকেই সরু সুতোর উপর ঝুলছে কমল নাথ  সরকারের ভাগ্য। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন ১১৬ জন বিধায়কের সমর্থন। সপা-বসপার বিধায়ক মিলিয়ে ১২১ জন বিধায়কের সমর্থন শাসক কংগ্রেসের পক্ষে। বিজেপির আসন সংখ্যা ১০৭। 


কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেছেন ৪ জন কংগ্রেস,এক জন  নির্দল,২জন বসপা ও ১জন সপা বিধায়ককে হরিয়ানার একটি পাঁচতারা হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি। কোটি কোটি টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। অভিযোগ অস্বীকার করে,  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, সবটাই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল,বিজেপির কোনও হাত নেই। তবে বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র জানান, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বিধায়করা। কংগ্রেস বিধায়করা কাজ করতে পারছেন না। এতে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। ১৫ থেকে ২০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।



মধ্যপ্রদেশের ঘটনা নজর কেড়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘোড়া কেনা-বেচা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। হরিয়ানার হোটেলে গিয়ে দিগ্বিজয় ও কমলনাথ মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী তাঁর পুত্র, ৪ জন বিধায়ককে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন বলে কংগ্রেস শিবিরের দাবি। তাতে কমল নাথ সরকারের সঙ্কট সম্পূর্ণ কাটল কি না তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট  নয়।


আরও পড়ুন- Air India-র ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনতে পারবেন অনাবাসী ভারতীয়রা