নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের ময়দানে বিজেপির মোক্ষম অস্ত্রগুলিই ইতিমধ্যে রপ্ত করে ফেলেছে কংগ্রেসও। মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পেতে ফেসবুকে কমপক্ষে ১৫ হাজার লাইক এবং টুইটারে ৫ হাজার ফোলোয়ার থাকতেই হবে, এমনই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কংগ্রেস। তাদের সাফ কথা, ফেসবুকে জনপ্রিয়তা না থাকলে টিকিট মিলবে না। বিজেপির শক্তিশালী আইটি সেলের সঙ্গে টক্কর দিতে গেলে এটাই এখন কংগ্রেসর  চোখে ‘ন্যূনতম যোগ্যতা’। এরপর বিজেপির আরও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার তথা ‘গোরক্ষা’ বিষয়ে তত্পর রাহুলের দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- গুটখা দুর্নীতি কাণ্ডে খোদ তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের


কীভাবে?


মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমল নাথ এদিন বলেন, “বিদিশা জেলায় গঞ্জবাসোদায় জনসভা করতে গিয়ে গরুদের করুণ অবস্থা দেখে ব্যাথিত হলাম। ওরা (বিজেপি) গরু নিয়ে মুখে বড় বড় কথা বলে, কিন্তু এদের জন্য কিছুই করেনি। আমরা ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক পঞ্চায়েত এলাকায় গোশালা তৈরি করব।” তবে কমল নাথের এই মন্তব্যে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র হিতেষ বাজপেয়ী বলেন, “যাক্! ওরাও এখন গরুদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে! কিন্তু বিফ পার্টিতেই আবার ওদের দেখা যায়। সমাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে গরুর ভূমিকা বিষয়ে ওদের কোনও জ্ঞানই নেই।” উল্লেখ্য, গরুর জন্য একটা অভয়ারণ্য তৈরি করেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার।


আরও পড়ুন- মাওবাদী যোগ! মানবাধিকারকর্মী গ্রেফতারে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা মহারাষ্ট্র পুলিসের


কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বাজপেয়ী বলেন, “ওরা (কংগ্রেস) যজ্ঞ করে, তাও আবার জুতে পরে।” কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, ‘বিশ্বাসটাই আদত বিষয়।’ তবে, ওই রাজ্যে গরু প্লাস্টিক খেয়ে মারা যাচ্ছে বলে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের সমালোচনা করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র শোভা ওঝা। পাশাপাশি কংগ্রেসের অভিযোগ, গোরক্ষকদের দাপটে বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে আমজনতার। উত্তরোত্তর গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে বলে বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কংগ্রেস।