নিজস্ব প্রতিবেদন :  একবিংশ শতাব্দীতেও মধ্যযুগীয় ভাবনার শিকার সাত দিনের নবজাতক। মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলার এক আদিবাসি মহিলা সদ্যোজাত মেয়ের হাতে এবং পায়ে ৬টি করে আঙুল দেখে আঁতকে ওঠেন। মেয়ের বিয়ে দেবেন কী করে এই ভাবনা থেকেই হাতের এবং পায়ের অতিরিক্ত আঙুলগুলি কেটে ফেলেন মা। আর তারপরেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল শিশুটির। ওই মহিলা বোধ হয় জানতেন না দুই পায়ে ৬টি করে আঙুল নিয়েও এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মনের সাফল্যের কাহিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - রাজ্যসভায় তিনতালাক বিল পাসে মরিয়া সরকার, আটকাতে তত্পর বিরোধীরা


মধ্য প্রদেশের খান্ডওয়া জেলার সুন্দরদেব গ্রামের তারাবাঈ গত ২২ ডিসেম্বর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপরেই তিনি দেখতে পান তাঁর মেয়ের দুই হাতে এবং দুই পায়ে পাঁচটি নয় ছটি করে আঙুল। ব্যাস! আদিবাসি ওই মহিলার মাথা চাড়া দেয় অন্য ভাবনা। কীভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন! আর এই ভাবনা থেকেই মেয়ের হাতের এবং পায়ের একটি করে আঙুল নিজেই কেটে বাদ দিয়ে দেন। এমনকী খবর পাওয়া গিয়েছে, কাটা জায়গায় গোবর চাপা দিয়ে রাখেন ওই মহিলা। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও মৃত শিশুটির মাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।


আরও পড়ুন - মহিলা কনস্টেবলকে দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ধর্ষণ, অভিযোগ সহকর্মীর বিরুদ্ধেই


দুই পায়ে ছটি করে আঙুল নিয়ে জন্মেছিলেন বাংলার অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন। সেই স্বপ্নাই ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলন ইভেন্টে সোনা জিতেছেন। এমনকী তার পায়ের বিরল গঠনের জন্য নতুন করে জুতো তৈরি করে দিচ্ছে অ্যাডিডাসের মতো সংস্থা। সাফল্য যেমন রয়েছে তেমনই অজ্ঞতা আর অন্ধকার দিকও রয়েছে এই ভারতেই। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা সেই অন্ধকার দিকটাই আরও একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এল।