জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্দোরের দীপক প্রজাপতি একজন শ্রমিকের ছেলে। আপাতত সকলের চোখের মণি। অথচ তাঁকেই নাকি ৭ বছর বয়সে 'পড়াশোনায় অত্যন্ত খারাপ' বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (JEE) মেইন রাউন্ড-এর প্রথম প্রচেষ্টায় সেই ছেলে ৯৯.৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। ক্লাস ২-এ তার শিক্ষকদের অকৃতকার্য হিসাবে বরখাস্ত করে দীুপককে। তারপর থেকে দৃঢ় সংকল্প ও জেদের কাছে হার মানল সকলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে তার স্বপ্নের পিছনে ছুটতে পরিবার কিছুই সাহায্য করতে পারেনি। দীপকের অনুপ্রেরণামূলক সাফল্যে একমাত্র ভরসা ছিল আত্মবিশ্বাস। সাফল্যের রহস্য জিজ্ঞেস করা হলে একগাল হেসে বলেন, "আমার সাফল্যের একটিই রহস্য "নো সোশ্যাল মিডিয়া।"


দীপক এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলে, ''কোভিড চলাকালীন অনলাইনে পড়াশোনার জন্য তার পরিবার একটি স্মার্টফোন কেনার জন্য টাকা ধার করেছিল। "স্মার্টফোন আমাদের জন্য বিলাসিতা ছিল৷ কিন্তু আমার বাবা-মা আমার মামার কাছ থেকে অর্থের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং ফোনটি আমার পড়াশোনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।''


দীপকের বাবা, রাম একবাল প্রজাপতি, একজন ওয়েল্ডার হিসাবে কাজ করেন কিন্তু তার কাজের ঠিক থাকে না এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন কাজ করেন তিনি। প্রজাপতি তার দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ফেল করলেও শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তাই, দীপকের বয়স যখন সাত বছর তখন তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেওয়াসের একটি ছোট গ্রাম থেকে জেলা সদরে চলে আসেন এবং তাকে একটি সরকারি স্কুলে ক্লাস ২তে ভর্তি করেন।


আরও পড়ুন, Deoghar-Kolkata Flight: শ্রাবণী মেলার আগেই বড় ঘোষণা, মঙ্গলবার থেকে শুরু দেওঘর-কলকাতা বিমান পরিষেবা


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)