নিজস্ব প্রতিবেদন- দিনের পর দিন সরকারি দফতরের মহিলা শৌচালয় দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার হয় না। মহিলারা বাধ্য হন সেই নোংরা শৌচালয় ব্যবহার করতে। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও লাভ হয় না। কিন্তু শক্তিসম্পদ দফতরের মন্ত্রীকে একবার জানাতেই হাতেনাতে কাজ হয়ে গেল। মন্ত্রীমশাই নিজেই ঝাঁটা হাতে নেমে পড়লেন শৌচালয় পরিষ্কার করতে। এমন ঘটনা এই দেশে সচরাচর শোনা যায় না। বরং নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ জমা হয় ভুড়ি ভুড়ি। কিন্তু সব কিছুরই ব্যতিক্রম রয়েছে। আর সব ক্ষেত্রেই রয়েছে ব্যতিক্রমী মানুষ। মধ্যপ্রদেশের শক্তিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী প্রদ্যুমান সিং তোমার তেমনই একজন মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সার্বজনিক স্তরে পরিচ্ছন্নতার বার্তা দিতেই মন্ত্রী প্রদ্যুমান সিং এমন একখান প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্নভাবে স্বচ্ছভারত মিশনের প্রচার করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও দেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের এক মন্ত্রীর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। প্রদ্যুমান সিং তোমার এদিন একটি মিটিং সেরে মোতি মহল ভবন থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় কয়েকজন মহিলা কর্মচারী তাঁকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কার্যালয়ের শৌচাগার পরিষ্কার করা হয় না। নোংরা শৌচালয় ব্যবহার করতে তাঁদের খুব সমস্যা হচ্ছে। অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। 


প্রদ্যুমান সিং তোমার এর পরই সেই শৌচালয় পরিদর্শনে যান। নোংরা শৌচালয় দেখে তিনি পাশে থাকা লোকজনকে টয়লেট ক্লিনার, ব্রাশ ইত্যাদি নিয়ে আসতে বলেন। মন্ত্রীমশাইয়ের নির্দেশ পেয়েও কী হতে চলেছে তার আন্দাজ করতে পারেননি আধিকারিকরা। এর পরই ঝাঁটা হাতে টয়লেট পরিষ্কার করতে নেমে পড়েন প্রদ্যুমান সিং। তিনি জানিয়েছেন, শৌচালয় পরিষ্কার থাকছে কি না সেটা নিয়মিত দেখার দায়িত্ব আধিকারিকদেরও। নিজেদের ঘর আগে পরিষ্কার রাখতে হবে। তার পর স্থানীয় এলাকা। এভাবেই সবাই মিলে দেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব। বলেন মন্ত্রীমশাই। তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীদের জানিয়েছেন, এবার থেকে যে বা যারা শৌচালয় অকারণে নোংরা করবে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।