লাথি, ঘুঁষি, লাঠির আঘাত! দলিত চাষি ও তাঁর স্ত্রীর উপর পুলিসের নির্মম অত্যাচারের ভিডিয়ো ভাইরাল
পুলিসকর্মীদের সামনেই রাজকুমার ও তাঁর স্ত্রী কীটনাশক খেয়ে নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- এমন ছবি দেখলে যে কারও চোখে জল আসবে। মা-বাবা অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে। তাঁদের ঘিরে ধরে বাচ্চারা হাউমাউ করে কাঁদছে। তবে এসব ছবি দেখে একদল পুলিসকর্মীর মন গলল না। তাঁরা নির্মমতার নিদর্শন রেখে গেলেন। গরিব চাষি ও তাঁর স্ত্রীকে নির্মমভাবে মারালেন পুলিসকর্মীরা। সেই দলিত চাষি ও তাঁর স্ত্রী বারবার পুলিসকর্মীদের সামনে হাতজোড় করে অনুরোধ করে গেলেন। কিন্তু একজন পুলিসকর্মীরও দয়া হল না। বরং তাঁদের উপর অত্যাচার আরও বেড়ে গেল। মধ্যপ্রদেশের গুনার এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুলিসের নির্মমতা নিয়ে সমালোচনবা শুরু হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ প্রশ্ন তুলেছেন, শিবরাজ সরকারের আমলে কি জঙ্গলরাজ চলছে! পুলিস কীভাবে প্রকাশ্যে এমনভাবে কারও উপর অত্যাচার করতে পারে! সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, একদল পুলিসকর্মী দলিত চাষি ও তাঁর স্ত্রীকে নির্মমভাবে লাথি, ঘুঁষি, লাঠির আঘাত করছে। মারের চোটে সেই চাষি ও তাঁর স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন। এমনকী তাঁদের ছোট ছেলেমেয়েদেরকেও রেহাই দেয়নি পুলিস। মা-বাবাকে বাঁচাতে তারা এগিয়ে এলে তাদেরকেও নির্মমভাবে মারছে পুলিস। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান গুনার এসপি ও কালেক্টরকে বরখাস্ত করেছেন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও পুলিসের তরফে চাষি ও তাঁর স্ত্রীকে মারার ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নড়ে উঠল মৃতদেহ! ছবি তুলতে গিয়ে রক্ত হিম ফটোগ্রাফারের
সায়েন্স কলেজের জন্য দেওয়া জমিতে ওই চাষি কব্জা করেছে বলে অভিযোগ ছিল। যদিও সেই চাষি রাজকুমার জানিয়েছেন, তিনি ওই জমি এলাকার এক রাজনৈতিক নেতার থেকে চাষের জন্য নিয়েছেন। সেই নেতাকে তিনি টাকা দিয়েছেন তার জন্য। দুলাখ টাকা ধার নিয়ে রাজকুমার সেই জমিতে চাষ করেছে। সেই চাষি জানিয়েছেন, তাঁর জমি সরকার নিয়ে নিলে স্ত্রী-ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁকে আত্মহত্যা করতে হবে। কারণ তাঁর মাথার উপর করের বোঝা রয়েছে। কিন্তু পুলিস সেসব কথা কানে তোলেনি। এর পর বাধ্য হয়ে পুলিসকর্মীদের সামনেই রাজকুমার ও তাঁর স্ত্রী কীটনাশক খেয়ে নেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায় পুলিস।