নিজস্ব প্রতিবেদন: বরখাস্ত হওয়ার হাত থেকে আপাতত স্বস্তি। এআইএডিএমকের ১৮ বিধায়ককে বরখাস্ত করার মামলায় রায় দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
একদিকে, প্রধান বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ১৮ বিধায়কের বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখেছেন। কিন্তু অন্যদিকে, বিচারপতি এম সুন্দর বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কৃষ্ণ-রাধার প্রেম! বিয়ে করতে মামীকে নিয়ে পলাতক ভাগ্নে


প্রসঙ্গত ওই ১৮ এআইএডিএম বিধায়ককে বরখাস্ত করে তামিলনাড়ু বিধানসভার স্পিকার পি ধনাপাল। এখন ওই মামলা তৃতীয় একজন বিচারপতির কাছে যাবে। তাঁর রায়ের পর সংখ্যা গরিষ্ঠ বিচারপতির মত অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ওই ১৮ বিধায়কের ভাগ্য।


মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই মামলার বিচারে আজ দ্বিধাবিভক্ত না হলে কী হতো? ‌তামিলনাড়ু বিধানসভার স্পিকারের নির্দেশ আদালত বহাল রাখলে উপনির্বাচন অবসম্ভাবী হয়ে দাঁড়াতো। এক্ষেত্রে ডিএমকের জিতে ‌যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ প্রবল ছিল। সেক্ষেত্রে পালানিস্বামী সরকার বিধানসভা সংখ্যালঘু হয়ে পড়তো।


অন্যদিকে, আদালত ‌যদি ওই ১৮ এআইএডিএমকে বিধায়ককে বরখাস্ত হওয়ার আদেশ খারিজ করে দেয়, তাহলে দুটি সমভবনা খোলা থাকতো। এক, ওইসব বিধায়করা ডিএমকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পালানিস্বামীকে সরিয়ে দিতে পারতেন। দুই, এদের মধ্যে অনেকেই আবার সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারকে কোনওক্রমে বাঁচিয়ে দিতেও পারতেন।


আরও পড়ুন-প্রতিবাদের শাস্তি! স্ত্রীর যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে দিল স্বামী, চলল নারকীয় নির্যাতন


কেন এই সমস্যা? 
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এআইএডিএমকের ১৮ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। এরপরেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কা‌র্যকলাপের অভি‌যোগ করেন এআইএডিএমকের মুখ্য সচেতক এ রাজেন্দ্রন। দলের তরফে অভি‌যোগ পেয়ে স্পিকার ওই ১৮ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করেন। এরপরই বরখাস্ত হওয়া বিধায়করা হাইকোর্টে ‌দ্বারস্থ হন।