নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় সংগীত গাওয়ায় আপত্তি করায় মাদ্রাসার অনুমোদন বাতিল করল যোগী সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনের দাবি, স্বাধীনতা দিবসে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জের কৌলুইয়ে একটি মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা তোলার পর জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়া হয়। ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা বোর্ডে রেজিস্ট্রিকৃত আরবিয়া আহলে সুন্নত গার্লস কলেজ। ২০০৭ সাল থেকে চলছে সেটি। শিক্ষা দফতরের নির্দেশে ওই মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জাতীয় পতাকা তোলার পর 'জনগণমন' গাইতে শুরু করে পড়ুয়ারা। তাদের থামিয়ে দেন মাদ্রাসার শিক্ষক জুনেইদ আনসারি। তার বিরোধিতা করেন আর এক শিক্ষক সুনীল কুমার ত্রিপাঠী। ঘটনাস্থলে নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান ও নিজাম নামে এক শিক্ষক।



ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা শাসক অমরনাথ উপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন জেলার সংখ্যালধু সংক্রান্ত দফতরের আধিকারিক প্রভাত কুমার। মাদ্রাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রার এস এন পান্ডের কাছে পাঠানো হয় সেই রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, ঘটনাটি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার।


উল্লেখ্য, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। মূল অভিযুক্ত জুনেইদ আনসারি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। আরও দুই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান ও শিক্ষক নিজামকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কোন পথে সিপিএম-কংগ্রেস সমঝোতা?