নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশিষ্ট কবি ভারাভারা রাও-সহ অন্যান্য সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে হলফনামা জমা দিল মহারাষ্ট্র পুলিস। গত ২৯ অগস্ট পাঁচ মানবাধিকারকর্মীর গ্রেফতারি প্রশ্নে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে জাবাবদিহি চায় সুপ্রিমকোর্ট। সেই নির্দেশ মতো বুধবার মহারাষ্ট্র পুলিস তাদের হলফনামায় জানায়, বিরোধী স্বর দমন করতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়নি। দেশের নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদ)-র সঙ্গে এই পাঁচ মানবাধিকারকর্মীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম কোর্টে পুলিস জানায়, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ নামে এক গোপন বৈঠক হওয়ার পরই ভীমা কোরেগাঁও আরও বেশি হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পুলিসের দাবি, ‘ইয়ালগার’ শব্দকে বিকৃত করে এলগার রাখা হয়েছে। ‘ইয়ালগার’ শব্দের অর্থ ‘আক্রমণ’। এই গোপন বৈঠকে ভীমা কোরেগাঁওয়ে হিংসার ছক কষা হয়েছে বলে পুলিস দাবি করেছে।


আরও পড়ুন- ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাজকর্মীদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট 


এর আগে মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে মানবাধিকারকর্মীদের অকাট্য যোগ থাকার প্রমাণ হাতে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মহারাষ্ট্র পুলিসের এডিজি পরমবীর সিং। তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালে ৩১ জানুয়ারি বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে বর্তমান সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের বিশিষ্ট সমজাকর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করছে মাওবাদী সংগঠন।


এমনকি মহারাষ্ট্র পুলিস সূত্রে খবর ছিল, সমাজকর্মীদের পাশাপাশি কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতাও মাওবাদীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাদের আরও দাবি, গত বছর নভেম্বর থেকে ২০১৮-র মার্চ পর্যন্ত মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেছে কংগ্রেসের দুই নেতা। তবে, এই দুই কংগ্রেস নেতার নাম প্রকাশ করেনি তারা।


আরও পড়ুন- ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত কবি-লেখক-সমাজকর্মীরা, কী এই ইউএপিএ?


উল্লেখ্য, গত ২৮ অগস্ট দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারাভারা রাও-সহ পাঁচ মানবাধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করে পুনে পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট বা ইউএপিএ-তে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। ২৯ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের তোলা হলে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, বিরোধী স্বর গণতন্ত্রের ‘সেফটি ভালভ’। সেই ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করা হলে প্রেসার কুকার বিস্ফোরণ হতে পারে। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাজকর্মীদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।