নিজস্ব প্রতিবেদন: "মহাগঠবন্ধন" ডুবন্ত জাহাজ, বিহার নির্বাচনে এনডিএ ২০০ টিরও বেশি আসন পাবে। জিতন রাম মাঝিকে স্বাগত জানিয়ে হাঁক পাড়লেন বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হোসেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, আরজেডি ও কংগ্রেসের কোনও নেতা নেই। লোকসভার মতো জেতার স্ট্রাইক রেট থাকবে এনডিএর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু বিহারের রাজনীতির ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় শুধুই অসম্ভাবনা। আজ এই নেতা ওই দলে তো কাল ওই দল ওই জোটে। পরিস্থিতি ঠাওর করতে হিমশিম খান বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে "মহাগঠবন্ধনে" সপ্রতিভ ভূমিকায় দেখতে মেলনি লালু প্রকাশ যাদবকে। আইনি জটিলতায় ব্রাত্য তিনি।


সেখানে সমগ্র "হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম)" নিয়ে জিতনের ঠিকানা বদলে কিছুটা হলেও ধাক্বা খেয়েছে "মহাগঠবন্ধন।" আসন সমঝোতা নাপসন্দ হওয়ায় "হাম" হারা কংগ্রেস-আরজেডি। তবে এনডিএর অন্দরেও চাপা স্রোত বইছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোন্দল সেখানেও। আগের থেকে বেশি আসনে লড়তে চাইছেন নীতীশ। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রামবিলাস পাসওয়ান।


তাই হয়তো জিতনে ভর করে রামবিলাস সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন নীতীশ! এই নিয়েও জোর গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। এর আগেও লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়ার পর জিতনকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন নীতীশ। যদিও তা "তাসের ঘরের" মতোই ভেঙে ফের মসনদে বসেছিলেন নীতীশ কুমার। তারপর "মহাগঠবন্ধনে" আস্তানা খুঁজেছিলেন জিতন। কিন্তু দলবদলের এক উদাহরণ নীতীশ হলে অন্য উদাহরণ জিতন। তাই ফের একই জোটে দুজন।


একদিকে লালুর সক্রিয় না হওয়া, তার উপর জিতনের ঘর বদল , কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে তেজস্বী ব্রিগেড। কিন্তু সমস্যা রয়েছে এনডিএতেও। তবে বিহারে ভোটের বাদ্যি যে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সে নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই। তবে কার দিকে যাবে জনতার রায়। সে উত্তর সময় দেবে।