Maharashtra Political Crisis: আগামিকালই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোট, বৃহস্পতিবার বারবেলাতেই কি বিদায় উদ্ধবের!
শিবসেনার ১৬ বিধায়কের বিধায়দপদ খারিজের দাবি করেছিল উদ্ধব সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: উদ্ধবের ভাগ্যে কী রয়েছে? বৃহস্পতিবার কী হবে? আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হবে উদ্ধবকে নাকি গদি বাঁচাতে আরও কিছুদিন লড়াই করতে পারবেন বালাসাহেব পুত্র? এই প্রশ্নের অবসান হল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। আদালতের নির্দেশ আস্থা ভোটে কোনও বাধা নেই। অর্থাত্ আস্থা ভোটের উপরে কোনও স্থগিতাদের দেওয়া হয়নি। ফলে রাজ্যপাল আগামিকাল যে আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন তা-ই বহাল থাকছে বলা যেতে পারে।
শিবসেনার ১৬ বিধায়কের বিধায়দপদ খারিজের দাবি করেছিল উদ্ধব সরকার। তাকে পাত্তা না দিয়ে আস্থা ভোটের পক্ষেই সায় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ভগত্ সিং কেশিয়ারি। এনিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যান উদ্ধব ঠাকরে। পাশাপাশি শাসক জোটের জেলবন্দি দুই বিধায়ক নবাব মালিক ও অনিল দেশমুখ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন যে তারাও আস্থাভোটে থাকতে চান। এনিয়েই সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হয় আইনি লড়াই। উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের দাবি ছিল ওই ১৬ বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি আগে নিস্পত্তি হোক তারপর আস্থা ভোট হবে। এনিয়ে আজ সাড়ে তিন ঘণ্টা শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।
আস্থা ভোটের আগে কে কী অবস্থায়?
উদ্ধবের পক্ষে রয়েছেন শিবসেনার ১৭ বিধায়ক, এনসিপির ৫৩ বিধায়ক, কংগ্রেসের ৪৪ বিধায়ক এবং অন্যান্য ১৩ বিধায়ক। অন্যদিকে, উদ্ধবের বিপক্ষে শিবসেনার ৪১ বিধায়ক, বিজেপির ১০৬ বিধায়ক, নির্দলের ৯ এবং অন্যান্য ৭ বিধায়ক।
এদিন উদ্ধব বিরোধী গোষ্ঠীর আইনজীবী এন কে কৌল সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন, মামলার শুনানির সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু আদালত সেই কথায় কান দেয়নি।
সাধারণত দেখা গিয়েছে, বিধায়কদের বিধায়কপদ খারিজের মামলা আটকে থাকার ক্ষেত্রে আস্থা ভোট সাধারণত আটকে থাকে না। আগামিকাল যদি আস্থা ভোট হয় তাহলে সরকার টিকিয়ে রাখার মতো কোনও সংখ্যা উদ্ধবের হাতে নেই।
আরও পড়ুন-Asaduddin Owaisi: বিহারে জোর ধাক্কা খেলেন ওয়েসি, আরজেডিতে ৪ মিম বিধায়ক